বরিশাল : তৃতীয় শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীকে (৮) অপহরনের পর ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি আবুল কালাম আজাদ কালুকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেছেন। বরিশাল উন্নয়ন সংগঠন আভাসের পক্ষ থেকে নিহত সীমার পরিবারকে আইন ও শালিশ কেন্দ্রের মামলা পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনজীবী মোকলেচুর রহমান খান জানান, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ নগরীর কাশিপুর এলাকার পূর্ব গণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সীমা আক্তার স্কুলের টয়লেট বন্ধ থাকায় পাশের বাড়িতে যায়। ওইসময় ট্রাকের হেলপার আবুল কালাম আজাদ কালু বাড়িতে একা থাকার সুযোগে সীমাকে ধর্ষণ করে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে পাশের বাড়ির কবরস্থানে রেখে আসে। হত্যার দুইদিন পর ১৩ মার্চ দুর্গন্ধ বের হলে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ওইদিন বিমানবন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সীমার মা মাহমুদা আক্তার।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আব্দুর রহমান মুকুল আদালতে কালুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১০ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারক উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে উপস্থিত নিহত সীমা আক্তারের মা ও বাবা বলেন, তারা রায় শুনে খুশি হয়েছেন। তবে দ্রæত ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য তারা দাবি করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফয়জুল হক ফয়েজ বলেন, এ রায় যুগান্তকারী এবং রাষ্ট্র পক্ষ খুশি। এ রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে কেউ অপরাধ করে পার পাবেনা।

Share.
Exit mobile version