অনুভবের মণিকোঠায়ে
কি আছে আর তোমাকে দেবার?
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পঙ্গু অসহায় এক যোদ্ধা
আজও তোমাকে ঘিরে কল্পনায় বীজ বুনি
এ দুঃসময়ে কি করে বলি–
ভালোবাসো, প্রিয়তমা প্রেশসী আমায়!
এক পাল পিশাচ শকুনের নখর আঘাতে,
স্তদ্ধ হলো জীবনের সুবিশাল আকাঙ্খা।
মনে পড়ে,তুমি বলেছিলে—-
যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে কিন্তু জশী হয়ে ফিরতে হবে।
ন’মাস যুদ্ধের পর এক পা হারিয়ে
যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে বাড়ি ফিরলাম।
কিন্তু পেলাম না, আমার জন্মদাতা পিতামাতাকে
মার্চের এক ভয়াল রাতে
এক ঋাঁক শকুন এসে ওদের ধরে নিয়ে গেছে
আর তুমি নববধুর সাজে গেছো অন্যের ঘরে।
আমি ভুলে যায়-ভুলে ঢ়াই
ক্ষোভে-দুঃখে-অভিমানে অসহায় এই মৃত মানুষের মতো
আজও বেঁচে আছি কিনা?
বোধ ও ভালোবাসার যর্থার্ঘতা চিহ্নিত হলে
মনের অন্ধত্বটুকু পরিষ্কার হশে যাবে।
চেতনার আকাশে আজও পদ ধ্বনি শুনি তাই
আরও একটি যুদ্ধ হবে, সে ঢ়ুদ্ধে
আমি আমার অস্তিত্ব আবার খজে পসবো
ফিরে পাবো সুজন-স্বজনদের
যারা প্রতিনিয়ত নলনে–“আমি ভালোবাসি তোমাকে-সকলকে
যেমন ভালোবাসি স্বদপশ ও জন্মভুমিকে।”
ছবি-সংগ্রহ
( কবিতাটি আশির দশকের চেঢসর্ধে আমার লেখা।
এটি একজন পুঙ্গ মুক্তিযোদ্ধার আত্নকথন)
তথ্য সংগ্রহঃবিধান চন্দ্র ঘোষ
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার
সুজানগর, পাবনা।