মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি ।। মুলাদীতে দিয়ারা সেটেলমেন্ট অফিস সহকারী মো. মন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে দূর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর মৌজায় চলমান মাঠ জরিপে বরিশাল দিয়ারা সেটেলমেন্ট অফিসে সহকারী মন্টু মিয়া ভেন্যু পরিবর্তন করে এক এলাকার সেটেলমেন্টের কার্যক্রম অন্য এলাকায় পরিচালনা, পর্চা ও নকশা বিতরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়, একজনের পর্চা আরেক জনের কাছে হস্তান্তরসহ বিভিন্ন দূর্ণীতি ও অনিয়ম করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সাহেবেরচর গ্রামের স্বপন মিয়া জানান, সাহেবেরচর মৌজার দিয়ারা সেটেলমেন্টের জন্য ভেন্যু হিসেবে সাহেবেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্ধারণ করে দেয় বরিশাল অফিস। গত ১০ ডিসেম্বর অফিস সহকারী মন্টু মিয়া সাহেবের চর এলাকায় না এসেই বরিশাল সেটেলমেন্টর অফিসের কর্মচারী বদর আমিন ওসমান গনির সহযোগিতায় পাশ্ববর্তী গ্রামের কাচিচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভেন্যু স্থাপন করে সেটেলমেন্টের কার্যক্রম শুরু করেন।

এতে সাহেবেরচর মৌজার সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। তাদেরকে নদী পাড় হয়ে পায়ে হেটে কাচিচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে।

এছাড়া সেটেলমেন্ট অফিস সহকারী মন্টু মিয়া স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান মাতুব্বর, জাহাঙ্গীর মাতুব্বর, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ ফরিদ হোসেন, নুরুল ইসলাম, সাগর হোসেন ও তার লোকজনের সহায়তায় পর্চা বিতরণে ১০০ টাকার স্থলে ২/৩শত টাকা, মূল ম্যাপ বিতরণে ৫শত টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও ফটোকপি ম্যাপ বিতরণ করে ৭/৮শত টাকা গ্রহণ করছেন তিনি। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে পর্চা ও ম্যাপ বিতরণ না করে বরিশাল দিয়ারা অফিস থেকে গ্রহণের নির্দেশণা দেন মন্টু মিয়া।

এ ব্যাপারে বরিশাল দিয়ারা সেটেলমেন্ট অফিসের ভারপ্রাপ্ত চার্জ অফিসার সুখেন্দু শেখর সরকার জানান, ভেন্যু পরিবর্তনসহ অনিয়মের বিষয়টি স্থানীয়রা আমাকে অবহিত করেছে। মন্টু মিয়াকে সাহেবেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভেন্যু স্থাপন করে পর্চা ও ম্যাপ বিতরণ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত টাকা না নেওয়ার নির্দেশণা দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে মন্টু মিয়া ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি স্বীকার করে জানান এলাকায় দলাদলীর কারণে ভেন্যু পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করার কথা বললে তিনি এরিয়ে যান।

Share.
Exit mobile version