বিশেষ প্রতিনিধি।। বেশ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাবনা থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল শুরু হয়েছে। শাহজাদপুর দিয়ে বন্ধ থাকার পর বিকল্প পথে দিয়ে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাবনা এক্সপ্রেস ও সরকার ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষ।

তারা জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে বন্ধ থাকার পর দুপুর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল শুরু হয়েছে। পাবনা থেকে বনপাড়া, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়ার বিকল্পপথগুলো ব্যবহার করে ঢাকায় বাসা চলাচল করছে।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পাবনা থেকে ঢাকাগামী পাবনা এক্সপ্রেসের হেলপার ও কনডাক্টরকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে পাবনার বাস মালিক গ্রুপ ও জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার রাত থেকে পাবনা থেকে ঢাকাগামী সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।

পাবনা জেলা মোটর মালিক গ্রুপ সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, দীর্ঘদিন ধরে শাহজাদপুরের বাস শ্রমিকরা পাবনার কোচ ও বাস ড্রাইভারদের মাঝে মধ্যেই বিনা কারণে মারধর করে থাকে। পাবনার মালিক শ্রমিকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এর প্রতিকার চেয়ে কোনো ফল পায়নি।

পাবনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ খান জানান, শনিবার ২৬ ডিসেম্বর পাবনা ও শাহজাদপুররে বাস মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে এ ঘটনার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পাবনা থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।

এদিকে পাবনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কবীর মাহমুদ জানান, সিরাজগঞ্জ এবং পাবনার মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে পরিবহন ধর্মঘট নিরসনে প্রশাসন চেষ্টা করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা পিপ (পাবনা): “আমি আর জীবনের আর কোনদিন মাদকাসক্ত বা গাজা, ফেন্সিডিল, মদ, ইয়াবা খামু না। অন্য কোন মাদকও খামু না, আর কাউকে মাদক খাইতেই দিমু না। আজ যে রিকশাডা পাইলাম এই রিকশা দিয়া সারা জীবন চলমু। এই রিকশা দিয়া যেন আমি আমার জীবনের চাকা ঘুরাইতে পারি। সবার কাছে এই সাহায্য ও দোয়া চাই”।

উপরের কথাগুলো পাবনা জেলার আমিনপুর থানার শ্যামসুন্দর গ্রামের দিনমজুর নাসির শেখের ছেলে মাদকসাক্ত হিসেবে কয়েকটি মামলায় ছয় মাস সাজা খেটে মুক্তি পাওয়া সুমন শেখের।

মাদকাসক্ত বন্দি সুমন শেখ বার্তা সংস্থা পিপ‘কে বলেন, ‘আমি সঙ্গ দোষে মাদক খেয়েছি। এমন অবস্থায় গেছি যে ঘরের ঘটি বাটি বউয়ের চুরি গয়না বিক্রি কইরা ইয়াবা খাইছি। আমি আর মাদক খাইতে চাই না’।
পাবনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কবীর মাহমুদ মাদকাসক্ত বন্দি সুমনের হাতে রিকশাটি তুলে দেন। এ সময় পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জাহেদ নেওয়াজ, সমাজ সেবা বিভাগের উপ-পরিচালক রাশেদ কবীর, জেল সুপার শাহ আলম খান, সমাজসেবা বিভাগের প্রবেশন অফিসার মো. পল্লব ইবনে শায়েখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সমাজসেবা কর্তৃপক্ষ বার্তা সংস্থা পিপ‘কে জানান, পাবনা কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় ৭ জন বন্দিকে পর্যায়ক্রমে রিকশা প্রদান করে পুর্নবাসন করা হবে।

Share.
Exit mobile version