সূত্র জানায়, ভাসমান বেড তৈরি করতে পানির ওপরে লম্বালম্বিভাবে দুটি বাঁশ বা কলাগাছ ফেলে তার ওপর সাগর শেওলার স্তূপ করা হয়। শেওলা পচে শুকিয়ে গেলে তার ওপর সামান্য মাটি ছিটিয়ে দিয়ে ৫-৭ দিন পরেই লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, ঢ্যাঁড়স, লাউ, শসা, শিম, কাঁকরোল, মিষ্টিকুমড়া, বেগুন,ডাটা, নালিমসহ বিভিন্ন সবজি চাষ শুরু করেন।
সূত্র আরো জানায়, ভাসমান সবজি চাষের একেকটি বেড এক মৌসুমের জন্য করা হয়। সবজি চাষ শেষ হলে ওই পচা ধাপ বোরো চাষের আগে জমিতে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করেন। ২০ হাত দৈর্ঘ্য ৪ হাত প্রস্থ এবং ৪ হাত উঁচু একটি বেড তৈরি করতে প্রায় আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। একটি বেডে ২ থেকে ৩ বার প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার সবজি ও মসলা পাওয়া যায়। এটির অবশিষ্টাংশ জৈব সার হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
চাষীরা বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে ২০১৮ সালে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ শুরু করি। কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছি। বিনামূল্যে বীজ সরবরাহ, বেড তৈরির খরচ ও বিভিন্ন কৃষি উপকরণ সহায়তা দেয়ায় এলাকার চাষিদেরও বেডে সবজি ও মসলা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। এই কাজে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, কয়েক ধাপে সবজি চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর তাদের বিনামূল্যে বীজ, সারসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে প্রায় ৫০০ কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, প্রায় ২০০ টি প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে, প্রায় ১০০ জন কৃষককে উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণে গোপালগঞ্জ, তেরখাদা এবং ফকিরহাট উপজেলায় নিয়ে দেখিয়ে আনা হয়েছে এবং মাঠে গিয়ে সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।