রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার

বিশেষ প্রতিনিধি।। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদযাপিত হবে নতুন বছর। এ বছর উদযাপনে থাকছে না কোনও আনুষ্ঠানিকতা। থাকছে না কোনও উন্মুক্ত স্থানে কোনও আয়োজন। এজন্য থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানী ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ১০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও এলাকায় নজরদারি করছেন। নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায়। থার্টিফার্স্টের রাতে ওই এলাকায় বহিরাগত কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, অভিজাত এলাকা গুলশান বনানী বারিধারায় প্রবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা তল্লাশি করছে। অনেককেই মুখোমুখি হতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নানা প্রশ্নের। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিজাত এলাকায় কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য প্রবেশমুখগুলোতে তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।

উদযাপনের কোনও আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও যেন নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় সে বিষয়টি উল্লেখ করে গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রাত ৮টা থেকে গুলশান-বারিধারা-বনানী এলাকায় প্রবেশের জন্য আমতলী ও বনানী ২৭ নম্বর সড়ক খোলা রেখে বাকি সব সড়ক বন্ধ রাখা হবে। সবকিছু কঠোরভাবে মনিটর করা হচ্ছে। রাতভর সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি স্ট্যান্ডবাই থাকবে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াত টিম, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, সুউচ্চ ভবনগুলো থেকে নজরদারি থাকবে, মোবাইল পেট্রোলিং, হোটেল কেন্দ্রিক বিশেষ ডিপ্লয়মেন্ট থাকবে। এছাড়া, কূটনৈতিক পাড়ায় থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা।

ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি ডিভিশনএদিকে, সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দা ছাড়া বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে হলগুলো বন্ধ, সে কারণে আমরা চাইবো ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের কম পদচারণা থাকবে। কোনও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না।’

Share.
Exit mobile version