হেফাজত ইসলামের প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে উল্লেখ করে বিচার দাবি করেছে ‘বাংলাদেশ ইমাম-ওলামা সমন্বয় ঐক্য পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানবন্ধনে সংগঠনটির নেতারা এ দাবি জানান।

বাংলাদেশ ইমাম-ওলামা সমন্বয় ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইন বলেন, হেফাজতে ইসলামের আমির উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ আলেমে দ্বীন হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। আহমদ শফী এন্তেকালের আগে হাটহাজারী মাদরাসায় ছাত্রদের দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তড়িৎ গতিতে নতুন কমিটি দেওয়া হয় এবং সেই কমিটির বিভিন্ন পদে নতুন লোক বসানো হয়। অথচ কমিটির কোনো পদে আহমদ শফীর কোনো সন্তানকে রাখা হয়নি। শফী হুজুর মরার পর তার জানাজায় তারই সন্তান আনাস মাদানীকে শরিক হতে দেওয়া হয়নি। এতে কী বোঝা যায়? এ ঘটনায় বোঝা যায়, আল্লামা আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকারীদের অনতিবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাই।

তিনি আরো বলেন, হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন করার সাথে সাথেই ভাস্কর্য নিয়ে হুঙ্কার-আন্দোলন শুরু হলো, মিছিল-মিটিং শুরু হলো, সারাদেশের কওমি মাদরাসাগুলোকে সরকারের শত্রু বানিয়ে দেওয়া হলো। আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই-সুপ্রিম কোর্টের সামনে একটি ভাস্কর্য ছিল। ওলামায়ে কেরামরা যখনই আপত্তি জানালেন প্রধানমন্ত্রী তখনই ভাস্কর্যটি সরিয়ে দিলেন। সেইটি নিয়ে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার সাথে সরকারের একটি তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হলো। তড়িঘড়ি করে হেফাজতে ইসলামের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেটি মূলত সরকারের সঙ্গে কওমি মাদরাসার একটি দ্বন্দ্ব তৈরি করার জন্য। বর্তমান পরিস্থিতি এটাই প্রমাণ করে।

মানবন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইমাম-ওলামা সমন্বয় ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মাওলানা শাহ ওমর ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা মো. হারুনুর রশিদ, হাফেজ মাওলানা সাখাওয়াত হোসানই, মাওলানা মো. ইউনুস ও মাওলানা মুফতি সাইফুল্লাহ সাদীসহ অনেকেই।

Share.
Exit mobile version