রাঙাপ্রভাত ডেস্কঃ ইন্দোনেশিয়ায় ৬২ আরোহী নিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীবাহী একটি বিমান নিখোঁজ হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে রাজধানী জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিমানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানটি দেশটির শ্রীবিজয়া এয়ার লাইন্সের।

পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আদিতা ইরাওয়াতী বলেন, পশ্চিম কালিমান্টান প্রদেশ থেকে বোর্নিও দ্বীপের পন্টিয়ানাকের উদ্দেশে যাত্রা করে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে বিমানটি। এ মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি এবং ট্রান্সপোর্ট সেফটি অথরিটির সঙ্গে সমন্বয় করছি আমরা। পরিবর্তী তথ্য বিস্তারিতভাবে শিগগরিই জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

শ্রীবিজয়া এয়ার জানিয়েছে, বিমান নিখোঁজের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়ার আগে এ সংক্রান্ত আরও তথ্য সংগ্রহ করছে তারা।

স্থানীয় মেট্রো টিভি জানায়, বিমানে ৬২ জন আরোহী ছিল। যার মধ্যে ৭ শিশু। ক্রু ছিলেন ৬ জন।

ফ্লাইট ট্র্যাকিং সার্ভিস ফ্লাইটরাডার২৪ এক টুইট বার্তায় জানায়, শ্রীবিজয়া এয়ারের ফ্লাইট এসজে-১৮২ জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের ৪ মিনিট পরই নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের সময় বিমানটি ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় ছিল বলেও জানানো হয়।

দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় দ্বিপপুঞ্জ রিজেন্ট অব দি থাউজেন্ড আইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, মালে উপকূলে বিষ্ফোরণ এবং কিছু এটা বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য তারা পেয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার মারদেকা নিউজ পেপার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

এর আগে সোকারনো-হাট্টা বিমানবন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক হেরুল আনোয়ার জানান, থাউজেন্ড দ্বীপপুঞ্জের ল্যাঙ্কাং দ্বীপের কাছে শ্রীবিজয়া এয়ারের বিমান নিখোঁজ হয়।

স্থানীয় গণমাধ্যমে টুকরো টুকরো বিভিন্ন অংশের ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। সেগুলো বিমানের কি না তা নিশ্চিত নয়।

সিএনএন ইন্দোনেশিয়াকে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, আমরা পানিতে কিছু কেবল, জিন্সের অনেক টুকরো এবং ধাতব পদার্থ পেয়েছি।

স্থানীয় গণমাধ্যম কোমপাস জানায়, যেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেখান থেকে পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্ধারকারী বাহিনী সম্ভাব্য মানবদেহ উদ্ধার করেছে।

ট্র্যাকিং সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী বোয়িং ৭৩৭-৫০০ মডেল বিমানটি ২৭ বছর পুরানো।

Share.
Exit mobile version