শাহজাহান সরকার,বিশেষ প্রতিনিধি।।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। জেলায় সর্দিকাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
প্রতিদিন শিশু ও বৃদ্ধসহ অন্তত একশ’ মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
শুধু পাবনা জেনারেল হাসপাতালেই প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়াসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৭০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। শয্যা না থাকায় অধিকাংশ রোগীর জায়গা হয়েছে বারান্দা বা করিডোরে। এদিকে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী আসায় তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের।
সূত্র জানায়, শীত মৌসুম শুরুর পর থেকে জেলায় অল্প সংখ্যক শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড শীতের কারণে ঠান্ডাজনিত এসব রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, পাবনায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ।
বুধবার শিশু ওয়ার্ডে ৭০ ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৮০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। তিনি জানান, পাবনা জেনারেল হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ২৫০টি। এর মধ্যে কোভিড রোগীদের জন্য ১০০ শয্যা সংরক্ষিত করে রাখার পর বাকি রয়েছে ১৫০টি শয্যা। কিন্তু এ হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছেন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০।
শয্যা না থাকায় অনেক রোগীর জায়গা হয়েছে বারান্দা বা করিডোরে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী আসায় তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের।
জানা যায়, পাবনা মেডিকেল কলেজের নিজস্ব হাসপাতাল না থাকায় ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালকে ‘সাময়িক’ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জেলা সদরে এটিই একমাত্র সরকারি বড় চিকিৎসাকেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবে এমনিতেই রোগীর চাপ এত বেশি থাকে যে, প্রতিদিন ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি রোগী ভর্তি থাকে। এ অবস্থায় গত এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়াসহ ডায়রিয়ার রোগী বেড়ে যাওয়ায় এখন ‘বোঝার উপরে শাকের আঁটি’র মতো অবস্থা হয়েছে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আইয়ুব হোসেন বলেন, শিশু ওয়ার্ডে ৪০ ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা নির্ধারিত রয়েছে ১৬টি। কিন্তু রোগীর চাপে কোনো ওয়ার্ডেই নির্ধারিত শয্যা অনুযায়ী রোগী ভর্তি বা চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না।

Share.
Exit mobile version