কলা যেমন সুস্বাদু তেমনই এটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। মূলত পাকা কলা খাওয়া হয় ফল হিসেবে। কাঁচাকলা সবজি হিসেবেই পরিচিত হলেও কাঁচা কলায় রয়েছে অনেকগুণাবলী। আসুন জেনে নিই কাঁচাকলার স্বাস্থ্য উপকারিতা-

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে: রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্যেও কাঁচাকলা উপকারী। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ওজন কমায়: ওজন কমাতে চাইলে খাদ্য তালিকায় রাখুন কাঁচাকলা। কাঁচাকলার ফাইবার অনেকটা সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় তা মেদ কমাতেও সাহায্য করে।

হজমে সহায়তা: উচ্চ মাত্রায় স্টার্চ ও খাদ্যআঁশ থাকায় কাঁচাকলা হজমে সহায়তা করে এবং পেটের সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে। এটা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: কাঁচাকলায় আছে উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম যা রক্তনালী ও ধমনীর চাপ কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে প্লাক জমে ধমনী সরু হয়ে যাওয়া, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

বিপাক বাড়ায়: কাঁচাকলায় আছে অত্যাবশ্যকীয় খনিজ ও পুষ্টি উপাদান যা চর্বিকে শক্তিকে রূপান্তরিত করে। আর ভিটামিন বি সিক্স এনজাইম ভাঙতে শক্তি যোগায়। এই দুই কারণে বিপাক প্রক্রিয়া বাড়ে।

ডায়রিয়ার চিকিৎসায়: কাঁচাকলায় রয়েছে নানান খনিজ উপাদান যা ডায়রিয়া এবং এই রোগের লক্ষণসহ মাথাব্যথা এবং দুর্বলভাব দূর করে।

পুষ্টির শোষণ বাড়ায়: কাঁচাকলায় থাকা ‘শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড’ শরীরে পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে। এই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের পুষ্টি শোষণ বিশেষ করে ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়ায়।

বৃক্কের কার্যকারিতা: কাঁচাকলা শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং কিডনি বা বৃক্কের কাজে সহায়তা করে। প্রতিদিন কাঁচাকলা খেলে বৃক্কের সমস্যা দূর হয়, বিশেষ করে ‘কিডনি ক্যান্সার’।

তথ্য সংগ্রহঃ শাহজাহান সরকার।।

Share.
Exit mobile version