স্পোর্টস ডেস্ক।। আজ সোমবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে মাঠে নামবে তামিম বাহিনী। রবিবার অনুশীলনে শেষ সময়ে নিজেদের ঝালিয়ে নেন টাইগাররা
ঢাকায় টাইগারদের দাপুটে পারফরম্যান্সে স্রেফ খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩ ম্যাচের ২টিতে জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে তামিম-সাকিবরা। সোমবার চট্টগ্রামে জেসন বাহিনীকে হোয়াইটওয়াশ লক্ষ্যে মাঠে নামবে স্বাগতিকরা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বেলা সাড়ে ১১টায়। ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ টেবিলে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ডকে টপকে ২ নম্বরে উঠে আসবে টাইগাররা। ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিতে প্রতিটি ম্যাচেরই পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজ হেরে যাওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ফিল সিমন্স বলেছিলেন, শেষ ম্যাচ থেকে অন্তত ১০ পয়েন্ট পেতে মরিয়া তার দল। স্বাগতিক ভারত ও ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগের অন্য শীর্ষ ৭ দল সরাসরি সুযোগ পাবে ২০২৩ বিশ^কাপে। অন্য দুটি দলকে জায়গা করে নিতে হবে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠেয় বাছাইপর্ব উতরে।
এই সিরিজ দিয়েই সুপার লিগে পথচলা শুরু করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ২ ম্যাচ থেকে তামিমদের প্রাপ্তি পূর্ণ ২০ পয়েন্ট। আজ জিতলে হবে ৩০। ৬ ম্যাচ খেলে ৪ জয়ে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া।
টানা দুই ম্যাচ হেরে ব্যাকফুট চলে যাওয়া এই উইন্ডিজই যে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে প্রবল বিক্রমে ফিরবে না তার নিশ্চয়তা কি? তাছাড়া ম্যাচটিও আগের ভেন্যুতে গড়াচ্ছে না। যেখানে গড়াচ্ছে সেটা (জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম) টিম বাংলাদেশের জন্য ‘লাকি ভেন্যু’ হলেও ম্যাচ প্ল্যানিং একটু এদিক ওদিক হলেই বিপদ। তাছাড়া বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্টের হিসাবও তার কাছে সবিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। তাইতো নির্ভার থাকার সুযোগ দেখছেন না তামিম ইকবাল। টাইগার দলপতি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমরা সিরিজ জিতেছি, কিন্তু আরো ১০ পয়েন্ট পাওয়ার আছে। আমরা জানি ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য প্রথম দুই ম্যাচের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না, কিন্তু তারা একটি বিপজ্জনক দল, যে কোনো সময়েই তারা ফিরে আসতে পারে।’
তামিম আরো জানিয়ে দিয়েছেন, এ সিরিজ থেকে তাদের লক্ষ্য ছিল ৩০ পয়েন্ট তুলে নেয়া। তার ২০ পয়েন্ট হয়ে গেছে। আরো ১০ পয়েন্ট এখনো বাকি। সোমবার জিতলেই সে পয়েন্টও তোলা হয়ে যাবে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলে যে পরিবর্তন আসবে, সে ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছেন টাইগার দলপতি। নিউজিল্যান্ড সফরকে সামনে রেখে সাইড বেঞ্চের শক্তি পরখ করাও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের সামনে। পেসার তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন রয়েছেন সবার আগে। দলের অংশ হওয়ার পর থেকে একাদশে জায়গা পাওয়ার বড় দাবিদার তারা।
মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন ধ্রুব শক্তিশালী একটি অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম। অথচ তারা রয়েছেন একাদশের বাইরে। মেহেদী হাসান হতে পারেন আরেক দুর্দান্ত সংযোজন। এরা সবাই রয়েছেন ওয়ানডে স্কোয়াডে। এছাড়া বোলিং পাওয়ার প্লে তো, দুর্দান্ত বোলিং করার জন্য উপযুক্ত তিনি। স্পিনার তাইজুল রয়েছেন স্কোয়াডে।
কাকে রেখে কাকে সুযোগ দেয়া হবে শেষ ম্যাচের একাদশে? তামিম এ কারণেই বলেছেন, শেষ ম্যাচে কিছু পরিবর্তন আসবেই। যদিও বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন জানিয়ে দিয়েছেন, সেরা একাদশ নিয়েই খেলতে নামবে বাংলাদেশ।