কামরুল হাসান সোহাগঃ ইয়োলো জার্নালিজম বা হলুদ সাংবাদিকতা হলো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মনগড়া, ভিত্তিহীন, দৃষ্টি আকর্ষণকরী, সাংবাদিকতার নীতি পরিপন্থী, অতিরঞ্জিত শিরোনাম ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করা। এ ধরনের সাংবাতিকতায় সঠিক গবেষণা বা খোঁজ-খবর না নিয়েই দৃষ্টি আকর্ষণকারী শিরোনাম দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়।
ইয়োলো জার্নালিজম বা হলুদ সাংবাদিকতার ইতিহাস অনেক পুরোনো হলেও করোনা অতিমারিতে এর দৌরাত্ম্য বহুগুন বেড়ে গেছে। করোনা অতিমারির কবলে পড়ে আপনজন হারানোর ভয়, অর্থনৈতিক অনিশ্চিয়তা ইত্যাদি জনমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তার উপর হলুদ সাংবাদিকতার কারণে ভিত্তিহীন সংবাদে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে। এ যেন মরার উপরে খড়ার ঘা। এর ফলস্রুতিতে সত্য সংবাদ চাপা পড়ে যাচ্ছে, ছড়িয়ে পড়ছে গুজব।
সংবাদ পত্র হলো সমাজের দর্পন আর সাংবাদিকতা হলো একটি সুমহান পেশা। একজন সাংবাদিক দ্বায়িত্বের সাথে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ সামলে সংবাদ উপস্থাপন করেন যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু হলুদ সাংবাদিকগন অতিরঞ্জিত ধরণের সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে এই মহান পেশার অবমাননা করছে। যার ফলে মানুষ আস্থা হারাচ্ছে সংবাদমাধ্যমের উপর। সাংবাদিকের কাজ হলো সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা। তাদের উপস্থাপিত সংবাদের মাধ্যমেই মানুষ দেশের খবর রাখে। কিন্তু তাদের এই হলুদ সাংবাদিকতায় কান্ড জ্ঞানহীন আচরণ মানুষের বিশ্বাসে ধোঁকা দিচ্ছে। এমন হতে থাকলে একসময় মানুষ সংবাদপত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে।
সাধারন মানুষ হলুদ সাংবাদিকতায় বিরক্ত হয়ে পড়েছে। দেশ ও জাতির কল্যানে যত দ্রুত সম্ভব হলুদ সাংবাদিকতা বন্ধ করা দরকার। যাতে মনগড়া সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে এই মহান পেশাকে কেউ কলুষিত করতে না পারে। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যানে নিবেদিত থাকবে সাংবাদিকগন। তবেই, এই মহান পেশা তার গৌরব ফিরে পাবে।
লেখকঃ সহ সম্পাদক, ডেইলি রাঙা প্রভাত।
আওয়ামী যুবলীগ, বাকেরগঞ্জ উপজেলা শাখা।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক, সম্ভাবনার কলসকাঠী।
Share.
Exit mobile version