নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা: খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের সাথে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মতবিনিময় করেছে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। খুলনায় অপরিকল্পিত নগরায়ন হচ্ছে, পরিকল্পিত রাস্তা, ড্রেন ছাড়া যত্রতত্র বহুতল বিল্ডিং গড়ে উঠছে। অন্যথায় আচিরেই খুলনা নগরী একটি বস্তিতে পরিণত হবে। খুলনায় এ মুহূর্তে দরকার পরিকল্পিত পরিবেশ বান্ধব আধুনিক মহানগরী গড়তে ৫০ বছরের পরিকল্পনা বিনির্মাণে। এ সকল বিষয়ে উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ’কে) আরো গতিশীল ও কার্যকরি করতে নিম্নোক্ত ৮টি প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়েছে।

প্রস্তাবসমূহ হল- কেডিএকে একটি জনমুখী সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করা, অপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প ও নিয়ম বহিভূত বহুতল ভবন নির্মান বন্ধ কর, খুলনার উন্নয়নে ডিটেল এরিয়াসহ ৫০ বছরের একটি মাষ্টার প্লান করা, প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে সকল অনিয়ম, দীর্ঘসুত্রিতা ও দুর্নীতি বন্ধ করে জনভোগান্তি বন্ধ করা, খুলনা নগরীর আবাসিক এলাকায় নাগরিক সুবিধা বাড়াতে আরো নতুন নতুন শপিং কমপ্লেক্স, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশুদের খেলাধুলার মাঠসহ মসজিদ, উপাসনালয় নির্মাণের পরিকল্পনা নিতে হবে, মংলা সমুদ্র বন্দর, বেনাপোল স্থলবন্দর, ভোমরা স্থলবন্দরের গুরুত্ব বিবেচনা করে খুলনা উন্নয়ন পরিকল্পনা করা, পদ¥া সেতু চালু হওয়ার পর খুলনা মহানগরির সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, রূপসা, দিঘলিয়া তেরোখাদা উপজেলার আংশিক মহানগরের সাথে সম্পৃক্ত করে আধুনিক নগর পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে আসা, রূপসা বাইপাস শিপইয়ার্ড রোড, নিরালা রোড, গল্লামারি থেকে রায়েরমহল, আড়ংঘাটা থেকে রায়েরমহল সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করা।

এ প্রসঙ্গে কেডিএ’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, “আমি খুলনার উন্নয়নে প্রতিটি প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করবার চেষ্টা করবো। আগামী ২০২২ সালের জুনে শিপইয়ার্ড সড়কের কাজ শেষ হবে। আধুনিক মহানগরী গড়তে পরিকল্পিত ভাবে যা যা করনীয় সে বিষয়ে আমি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সচেষ্ট থাকবো।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান, মহাসচিব শেখ মোহাম্মাদ আলী, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেনসহ আরো অনেকে।

Share.
Exit mobile version