বাকেরগঞ্জ (বরিশাল)  সংবাদদাতাঃ  বাকেরগঞ্জের কলসকাঠীতে অগ্নিকাণ্ডে ইউপি চেয়ারমান ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদারের বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে। আগুন লাগার কারন জানা যায়নি। স্থানীয় জনতা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তার আগেই পুরো ঘরটি পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মুন্না তালুকদার ঢাকায় ছিলেন। এমনকি তার পরিবার পরিজনও বাড়িতে ছিলো না। ঘরটি খালি অবস্থায় তালাবদ্ধ ছিলো। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাড়ির অন্য ঘরের লোকজন আগুন জ্বলতে দেখে ডাক-চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলাউদ্দিন মিলন পুলিশের একটি টিম নিয়ে সেখানে গিয়ে হাজির হন এবং স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় কয়েক ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। মঙ্গলবার বেলা ১ টার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায় ঘটনাস্থল  পরিদর্শণ করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এ খবর জানতে পেরে ঢাকা থেকে মুন্না তালুকদার বেলা ৩ টার সময় নিজ বাড়িতে ছুটে আসেন। এসময় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়ে। চেয়ারম্যান মুন্না তালুকদার এলাকাবাসীকে জরিয়ে ধরে কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, তার দাদা সাবেক চেয়ারম্যান হাসেম তালুকদারের নির্মাণ করা এ ঘরটি তাদের পরিবারের ঐতিহ্য ছিলো। তার পিতা সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার তিনিও মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এ ঘরে বসবাস করেছেন। সেই ঘরটি আজ পুড়ে বিলিন হয়ে গেছে। সাংবাদিকরা অগ্নিকান্ডের কারন জানতে চাইলে কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, আগুন লাগার সময় তিনি ঢাকায় ছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে টার্গেট করে তার প্রতিপক্ষরা হয়তো এ ঘটনা ঘটাতে পারে! তবে এবিষয়ে তিনি এখোনও লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেননি।
Share.
Exit mobile version