নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা: খুলনায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৩ টার দিকে পাইকগাছা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাছ ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমানকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে। এর আগে, রোববার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফি বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে আসামি মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মাছ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মাছ বিক্রির জন্য ভুক্তভোগীর বাড়িতে প্রায়ই যাওয়া আসা করতেন। সে সুবাদে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। মিজানুর নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ভালো ছেলের কাছে বিয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। গত ৩ মার্চ পাত্র মিজানুরের বাসায় এসেছে বলে ওই ছাত্রী ও তার মাকে তার বাসায় যেতে বলেন। ওই দিন বিকাল ৩টায় বাদী তার মেয়েকে নিয়ে মিজানুর রহমানের বাড়িতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান পাত্র নেই। পাত্র কোথায় জানতে চাইলে মিজান বলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো পাত্র আসছে। কিছুক্ষণ পর মিজানুর রহমান ভুক্তভোগী ছাত্রী এবং তার মাকে শরবত খেতে দেয়। শরবত খাওয়ার পর ওই স্কুল ছাত্রীর মা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এক ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে দেখেন ওই বাড়িতে কেউ নেই। এমনকি তার মেয়েও নেই। মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যান মামলার বাদী। বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার স্বামীকে জানান।

ওইদিন রাতভর খোজা-খুজি করেন তারা। পরদিন সকাল ৭টায় কপিলমনি বাজারে ধান্য মার্কেট এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে তার মেয়ে এমন সংবাদ পেয়ে তিনি ছুটে যান। সেখান থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী তার মাকে জানান, শরবত দিয়ে অজ্ঞান করার পর তাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে কয়রা থানা এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায় মিজানুর রহমান। সেখানে সারারাত তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করা হয়। সকাল বেলা তাকে কয়রা থেকে নিয়ে কপিলমুনি বাজার এলাকায় রেখে যায়। মেয়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে গ্রাম্য ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসার চেষ্টা করে। পরে রোববার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে পাইকগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা।

Share.
Exit mobile version