বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি; বাবুগঞ্জে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে রাতে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আজিজুর রহমান মুন্সির (৭০) ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মক জখম করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। এসময় তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে নাতিকেও বেধড়ক পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান মুন্সি উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের মৃত কাশেম আলী মুন্সির ছেলে। তিনি বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সচিব এবং রহমতপুর ইউনিয়নের কমান্ডার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আজিজুর রহমান মুন্সির সঙ্গে প্রতিবেশী সেকেন্দার আলী মুন্সি ও তার ছেলেদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার আজিজুর রহমান মুন্সি ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটতে গেলে তাতে বাঁধা দেন সেকেন্দার আলী মুন্সির ছেলে আবুল খায়ের মুন্সি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ওই ঝগড়ার জের ধরে রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় পথরোধ করে আজিজুর রহমান মুন্সির ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় আবুল খায়ের মুন্সি ও তার মাদকাসক্ত ছেলে ইমাম হোসেন আকাশ।

সন্ত্রাসী ইমাম হোসেন আকাশের বেধড়ক মারপিটে রক্তাক্ত জখম হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান মুন্সি। এসময় আর্তচিৎকার শুনে মুক্তিযোদ্ধার নাতি জুবায়ের হোসেন (১৮) উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে তাকেও বেদম মারপিট করা হয় এবং ভেকু মেশিনের পেমেন্ট দিতে আনা ৫০ হাজার টাকা আহত মুক্তিযোদ্ধার পকেট থেকে ছিনিয়ে নেয় আবুল খায়ের মুন্সি ও তার ভাই হুমায়ুন মুন্সি বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এসময় আহত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আজিজুর রহমান মুন্সি জরুরী পরিষেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশি সাহায্য চাইলে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের স্ত্রী তানজিলুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) শাহ মোঃ ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘জরুরী নম্বরে ফোন পেয়ে আমরা দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও তার নাতিকে উদ্ধার করি এবং শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করি। মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলাকারীরা কিছুতেই ছাড় পাবে না। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Share.
Exit mobile version