সাব্বির ফকির, খুুলনা।। মাঠের দিকে তাকালে সারি বদ্ধ তরমুজের চারা ছাড়া আর অন্য কিছু চোখে পড়ে না। সবুজে সমারহ এলাকা জুড়ে। রৌদ্রের প্রচন্ড তাপদহ এর মধ্যে তরমুজের চারার গোড়া বাধা পানি ও সার দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কয়রার তরমুজ চাষিরা।

খুলনার উপকূলীয় কয়রা উপজেলায় তরমুজ চাষে ঝুকছে অধিকাংশ কৃষক। উপকূলীয় এ অঞ্চলের তরমুজ খেতে সুস্বাদু হওয়ায় শহরের বাজারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে প্রচুর।

গত বছর ১১৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করে কৃষক ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় চলতি মৌসুমে উপজেলায় তরমুজ চাষে আবাদ বেড়েছে। চলতি মৌসুমে ৬৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করছে কৃষকরা।

এবছরের নতুন তরমুজ চাষীরা বলেন, গত বছর এলাকায় তরমুজ চাষ করে সকল কৃষক ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় আমরা এ বছর নিজ জমিতে তরমুজ চাষ করেছি।

অন্য এক কৃষক বলেন, গতবছর বছর তরমুজ ভালো হওয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা তিন জনে এক সাথে ২২ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি এবারও আশা বাদি আমরা ভালো ফলন ও দামও ভালো পাবো, তবে চারায় পোকা লেগেছে ঔষধ কোম্পানীর লোক ছাড়া কৃষি অফিস থেকে কোন প্রশিক্ষণ বা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে না।

আমাদি ইউনিয়ন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাইমুর রহমান বলেন, এখানে আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি প্রতিনিয়ত মাঠে যেয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি তবে যেখানে তিন জন কর্মকর্তা থাকার কথা সেখানে আমার একার পক্ষে প্রতিটা কৃষকের কাছে যেয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না।

অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তরমুজ চাষের জন্য আমাদের কোন প্রদর্শনী বরাদ্দ নাই, তবে যাতে কৃষক লাভজনক ফসল পায় সেই লক্ষে প্রতিনিয়ত আমি ও আমার সহকারীরা মাঠে যেয়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

Share.
Exit mobile version