রাঙা প্রভাত ডেস্ক।।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ ঢাকায় আসছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার কথা । বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয় ১৯৭২ সালে। উভয় দেশ ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশতম বার্ষিকী উদযাপন করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দেশটির সঙ্গে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তির মতো বিষয়। এছাড়াও ঢাকা-কলম্বো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে আলোচনায় জোর দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার সকালে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর আনুষ্ঠানিকতা সেরে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী যাবেন সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি। পরে শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী।
পরদিন শনিবার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে উভয় দেশের মধ্যে ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। শনিবার সকালে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও ঢাকায় আসছে। এর মধ্যে বেশ কয়েজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। দেশটির শিক্ষামন্ত্রী, তাঁত ও বস্ত্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, গৃহায়ণ ও গৃহনির্মাণ সামগ্রী শিল্প বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারি কর্মকর্তারা মাহিন্দা রাজাপক্ষের সফরসঙ্গী হয়েছেন। দুই দিনের সফর শেষে আগামী ২০ মার্চ সন্ধ্যায় সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।
সফরকালে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এই আলোচনার মধ্য দিয়ে দু’দেশের দীর্ঘদিন ধরে যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, তা আরও উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় আলোচনা কৃষি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, সামুদ্রিক যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতকে স্পর্শ করবে। এই সফরে উভয় দেশ কৃষিক্ষেত্র, প্রযুক্তি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে।

Share.
Exit mobile version