বিশেষ প্রতিনিধি।।  সিলেট নগরীর অর্ধশতাধীক আবাসিক হোটেল গুলোতে চলছে সুন্দরী তরুণীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা। এর মধ্যে নগরীর সুরমা মার্কেটে রয়েছে দুইটি। নগরীর মিরাজাবারের বাসিন্ধা মাহবুব করিম চৌধুরীর মালিকানাধীন হোটেল বদরুল রেষ্ট হাউজ। যে হোটেলের নিচ দিয়ে প্রতিদিন প্রশাসনের লোকজনসহ ভিআইপিরা যাতায়াত করেন। মার্কেটের ভিতরে রয়েছে নিউ সুরমা আবাসিক।

বহুল আলোচিত এই নিউ সুরমা আবাসিক হোটেলে বৃহস্পতিবার ১৮ মার্চ অভিযান চালিয়েছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এ সময় ২জন পতিতা ও ৬ জন খদ্দেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নগরীর সুরমা মার্কেটস্থ নিউ সুরমা আবাসিক হোটেলে কতিপয় নারী-পুরুষ অসামাজিক কাজ চালিয়ে আসছে এমন সংবাদের পেয়ে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় ২জন পতিতা ও ৬জন খদ্দেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে এসএমপি এ্যাক্টের ৭৭ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আবু ফরহাদ বলেন, এই এলাকায় কোন অবস্থাতেই অসামাজিক কাজ চলতে দেয়া হবে না। কোথায় অসামাজিক কাজ চলছে এমন সংবাদ পাওয়া মাত্রই অভিযান চালানো হবে।
কিনব্রিজ ও আশপাশ এলাকায় ভাসমান পতিতাদের আনাগুনা বন্ধে পুলিশের ভুমিকা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওসি ফরহাদ বলেন- আমরা প্রতিদিনই তাদের তাড়া করছি। এদের ধরে কোর্টে চালানও দিচ্ছি। তারপরও ওরা বিভিন্ন স্থান থেকে চরে আসে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং ধারাবাহিক ভাবে চলবে।

জানা যায়, এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানাধীন সুরমা মার্কেটস্থ নিউ সুরমা আবাসিক হোটেল ও একই মার্কেটের সামনে বদরুল আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন থেকে কতিপয় নারী-পুরুষ অসামাজিক কাজ চালিয়ে আসছে। হোটেল বদরুলের নিচ দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ও কোতোয়ালী থানার ওসি-এসি। এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে থানা পুলিশ অভিযান দিয়ে আটক করেন ঠিকই। কিন্তু আদালতে যাওয়ার পরই একটি জরিমানা দিয়ে বেরিয়ে যান ওই কতিপয় নারী-পুরুষরা।
এদিকে, নগরীর লালধীঘির পাড়ে রয়েছে, ভাই ভাই আবাসিক, সোনালী ব্যাচেলর, মেডিকেল রোডে রয়েছে রজনিগন্ধা আবাসিক, চৌধুরী আবাসিক, দক্ষিণ সুরমায় পুরাতন পতিতালয় নিউ বিরতি আবাসিক, অভি আবাসিক, কাশ্মির আবাসিক, হোটেল তিতাস সহ প্রায় অর্ধশতাধীক আবাসিক হোটেলে এই ব্যবসা চলে আসছে।
পুলিশ সাময়িক ভাবে অভিযান দিয়ে পতিতা ও খদ্দরকে আটক করেন এবং আদালতে পাঠিয়ে দেন। পরে তারা জরিমানা দিয়ে জামিনে বেরিয়ে যায়। সিলেটের এই পতিতাবৃত্তি স্থায়ী ভাবে বন্ধে এসএমপি কমিশনারের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন নগরীর সচেতন মহল।

Share.
Exit mobile version