জস্ব প্রতিবেদক, খুলনাঃ খুলনায় করোনা (কোভিট১৯) সংক্রমণ এড়াতে কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে লকডাউন প্রক্রিয়া। সকাল থেকে শহরের সবখানে সাধারণ মানুষের আনাগোনা ছিল কম। অধিকাংশ দোকানপাঠও বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার পরিবহনও।

অন্যদিকে লকডাউনের প্রথম দিনেই ৪৮টি মামলা ও ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নির্দেশে ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলীর তত্ত্বাবধানে জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণকল্পে অভিযান পরিচালনাকালে সোমবার এ মামলা ও জরিমানা আদায় করা হয়।

নগরীর রুপসা ঘাটে সাধারণ মানুষের আনাগোনাও ছিলো কম। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া রুপসা নদীর ওপার থেকে শহরমুখী হচ্ছে না কেউ। প্রতিটি ট্রলারের যাত্রীরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মুখে মাস্ক পরে নদী পারাপার করছে।

রুপসা ঘাটের ট্রলার মাঝি মোঃ মোছাদ্দেক বলেন, আজ (৫ এপ্রিল) ভোর থেকেই প্রতিটি ট্রলারে ১২ জন করে যাত্রী পারাপার করছেন তারা। সাথে সাথে মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী ট্রলারে তুলছেন না।

এদিকে রুপসা ঘাটে হাত ধোয়ার জন্য দুটি বেসিন এর ব্যবস্থা থাকলেও তার একটি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এ বিষয়ে রূপসা ঘাটের টাকা কালেকশনের জন্য দায়িত্বরত যুবকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, দুটি বেসিন থাকলেও একটিতে পানির ব্যবস্থা নেই তবে অপর বেসিনে বাইরে থেকে পাইপের মাধ্যমে হাত ধোয়ার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বলেন, করোনা ভাইরাসজনিত রোগের বিস্তার রোধে সোমবার থেকে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিতকল্পে খুলনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলাসমূহে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)। একই সময়ে মহানগরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।

এ সময় সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহ্বান জানানো হয়। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে প্রচারণা চালানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনাসমূহ প্রতিপালন না করায় খুলনা মহানগরে মোট ৪৮ মামলায় ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন পুলিশ, আনসার, র‍্যাব ও এপিবিএনের সদস্যরা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

Share.
Exit mobile version