রফিকুল ইসলাম রনি :- জীবন বাড়ৈয় পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক। বয়স প্রায় ৭০ কাছাকাছি। এখন প্রায়টা বৃদ্ধ তবুও চিকিৎসা পেশা ছাড়ছেন না। অজপাড়া গাঁয়ের মানুষ তার কাছ থেকেই চিকিৎসা গ্রহণ করে । ছোট-খাটো রোগ নির্ণয়ে ওষুধ প্রদানের মাধ্যমেই সুস্থ হচ্ছে রোগী। গ্রামীণ চিকিৎসা সেবায় সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। তার পিতাও একজন পল্লী চিকিৎসক ছিলেন।

জানাগেছে, পল্লী চিকিৎসক জীবন বাড়ৈয় বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ভরসাকাঠী খিস্টানপাড়ায় জন্মগ্রহন করে। পিতা মৃত পৌলা বাড়ৈয়। তিনিও মৃত্যুর আগপর্যন্ত দরিদ্রপীরিত মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিয়ে গিয়েছেন। আর পিতার পেশাই ধরে রেখেছেন তিনি।

অজপাড়া গাঁয়ের অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা লক্ষই তার। উজিরপুর, বাবুগঞ্জ ও গৌরনদী এ তিন উপজেলার বর্ডার সিমান্তের অজাপাড়া গাঁয়ের মানুষ ছোট-খাটো রোগ নির্ণয়ে তার কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণে ভরসা। যতই ঝড়বাদল থাকুক ও গভীর রাত্র হোক খবর আসলেই চিকিৎসা সেবা দিতে ছুটে যায় এ পল্লী চিকিৎসক জীবন বাড়ৈয়। তিনি নিজে অসুস্থ থাকা সত্যেও কারোর অসুস্থতার খবর আসলেই এখন গভীর রাত্র মানছে না ছুটে যায় চিকিৎসা দিতে। চিকিৎসা সেবা প্রদানে তার কোন নির্দিষ্ট ফি বাধা নেই। রুগীর স্বজনগন খুশি হয়ে যা ফি দেয় তা-ই নিয়ে নেয়। তার ভিতরে নেই কোন রাগ-ক্ষোভ। তিনি এজন সাদামনের চিকিৎসক। তবে তার দ্বায়িত্ব পালন করতে তার কোনো সন্তান পল্লীচিকিৎসা পেশা গ্রহণ করেনি। একারনে কিছুটা বেদণাক্ত তিনি।

পল্লী চিকিৎসক ৭০ বছর বয়সী জীবন বাড়ৈয় বলেন, ঈশ^রের কৃপায় যতদিন আমি পায়ের শক্তিদ্বারা হাটতে পারবো, ততোদিন পর্যন্ত মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাবো। তাতে যতই আবহাওয়া খারাপ ও গভীর রাত্র হোকনা কেনো।

বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন বলেন, পল্লী চিকিৎসকগণ মূলত মাথাব্যাথা, সামান্য জ¦র ও পেশার মাপা এসব ছোট রোগগুলোর জন্য চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন এবং এসব ছোটকাটো রোগের চিকিৎসা দেয়ার জন্য তাদেরকে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।

Share.
Exit mobile version