সাব্বির ফকির, খুলনাঃ করোনা মোকাবিলায় খুলনা জেলা কারাগারে ৩০ সেল প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে দু’জন চিকিৎসক রয়েছেন। রোগীদের চিকিৎসায় একজন সেবক রয়েছেন। একজন ফার্মাসিস্ট রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, নতুন আসামি গ্রেপ্তার হলে জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ ১৪ দিনের আইসোলেনে ভৈরব ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। এরপরে যদি করোনা সংক্রমণের কোন আশঙ্কা না থাকে তাহলে কারাগারের অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। যদি কারো মধ্যে করোনা পজিটিভ হয় তাহলে এখান থেকে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে পাঠান।

অপরদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্র জানায়, গত এপ্রিলে করোনার সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি মারা যায় খুলনায় ২৯ জন। সবচেয়ে কম মাগুরা ১ জন। এছাড়া দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কুষ্টিয়া ১৬ জন। যশোর ১২, ঝিনাইদহে ও সাতক্ষীরা ১০ জন, বাগেরহাটে ৭ জন, চুয়াডাঙ্গা ৫ জন, নড়াইল ৪, মেহেরপুর ৩ জন মারা যায়। এপ্রিলে মোট মারা গেছেন ৯৭ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৭২ জন। যার মধ্যে খুলনায় ১ হাজার ৩৯৯। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যশোর ১ হাজার ১৮২ জন। এছাড়া কুষ্টিয়া ৫৩০, ঝিনাইদহে ৩২১, বাগেরহাটে ২৬০, নড়াইল ২১১ জন, চুয়াডাঙ্গা ১৫২, মাগুরা ১২৭, মেহেরপুর ৯৯ ও সবচেয়ে কম আক্রান্ত হয়েছে সাতক্ষীরায় ৯১ জন।

খুলনা কারাগারের জেল সুপার ওমর ফারুক জানান, কারাগারে কারো মধ্যে করোনা পজিটিভ হলে এখানে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এরপরে তাকে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসাপাতালে স্থানান্তর করি। তবে কারাগারে দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখনও কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।

Share.
Exit mobile version