বিশেষ প্রতিনিধি।। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে রান্না করা ভাতের ওপর প্রসাব করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আরাফাত নামে দেড় বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কোহিনুর বেগমকে আটক করা হয়েছে। উপজেলার দাড়েপাড়া গ্রামে এই শিশু হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজের ৩ দিন পর সোমবার (১০ মে) দুপুরে প্রতিবেশী সফের মালির বাড়ির রান্নাঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের দাড়েরপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের শিশুপুত্র আরাফাত গত শুক্রবার (৭ মে) সকাল ৯টার দিকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ওইদিন দৌলতপুর থানায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়।
সোমবার প্রতিবেশী সফের মালির বাড়ির রান্নাঘর থেকে শিশুটির লাশের দুর্গন্ধ ছড়ালে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ অবস্থায় দুপুর ১টার দিকে সফের মালির স্ত্রী কোহিনুর বেগম রান্নাঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা শিশুর বস্তাবন্দি লাশ তুলে পুনরায় মাটি খুঁড়ে নতুন করে চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আশেপাশের লোকজন ঘটনাটি দেখে ফেলায় কোহিনুর পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশু আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কোহিনুর বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদাৎ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক কোহিনুর শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। ওইদিন (শুক্রবার) কোহিনুর ভাত রান্না করে রান্নাঘরে ভাতের পাতিল রেখে দেন। এ সময় পাশের বাড়ির দেড় বছর বয়সী শিশু আরাফাত ভাতের পাতিলের ভেতর প্রসাব করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কোহিনুর শিশুটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে সে ছিটকে পড়ে যায়। এক ধাক্কাতেই শিশুটি ছিটকে নিচে পড়ে মারাত্মক আহত হয়। পরে তড়িঘড়ি করে শিশুটিকে বস্তাবন্দি করে রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে পুঁতে রাখা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক কোহিনুর বেগম পুলিশকে এমন তথ্য জানালেও শিশু আরাফাত হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা আরো জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসবে বলে ওসি (তদন্ত) শাহাদাৎ হোসেন জানিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলেছ।

Share.
Exit mobile version