রাঙা প্রভাত ডেস্ক।। কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ১০ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন-১৪) একটি দল। আজ শনিবার বিকেলে কুতুপালং মধুরছরা এলাকা থেকে তাদের আটক করে ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়।

এপিবিএন-১৪-এর কমান্ডার (পুলিশ সুপার) নাঈমুল হক জানান উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধুরছরায় অবস্থিত এপিবিএন’র সদস্যরা জানতে পারেন, নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে দুই রোহিঙ্গা পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য ক্যাম্পে পালিয়ে এসে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের ঘরে অবস্থান করছে।

পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানান, গত ৮ মে নোয়াখালীর এক দালালের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাসান চর থেকে ট্রলারে করে নোয়াখালীর একটি জায়গায় এসে আশ্রয় নেয়। পরে সেখান থেকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোপনে পালিয়ে এসে অবস্থান করছিল। ভাসানচরে যাওয়ার আগে তারা কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৩-এর ৯ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা ছিল।
শনিবার বিকেলে স্থানীয় মাঝিদের সহায়তায় আর্মড পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্পের অন্য রোহিঙ্গাদের ঘর থেকে এনায়েত উল্লাহ ও কেফায়েত উল্লাহকে আটক করে। পরে তাদের পরিবারের অন্য সদস্য মোট ১০ জনকে আটক করা হয়।

পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানান, বিকেল পাঁচটার দিকে তাদেরকে ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদেরকে ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত ৩ মার্চ আটক এই রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে গিয়েছিল।
পুলিশ সুপার নাঈমুল হক আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, ভাসানচরে গিয়ে তাদের সেখানে ভালো না লাগায় দালালের মাধ্যমে এখানে পালিয়ে এসেছে।
শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ দৌজা জানান, যারা ভাসানচর থেকে পালিয়ে এসেছে তাদের যেখানেই পাওয়া যাক না কেন তাদেরকে আবার ভাসানচরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

Share.
Exit mobile version