মো. হোসেন আলী, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :- গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল, নদী ও জলাশয়ে চায়না ম্যাজিক জাল ও কারেন্ট জাল অবাধে ব্যবহার করায় নিধন হচ্ছে মৎস্য ও জলজ প্রাণী।
প্রতিদিন শিকার হচ্ছে বিভিন্ন মাছ ও জলজ প্রাণী ,ফলে প্রতিনিয়ত মারা পড়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ডিমওয়ালা মাছ,শোল ,টাকি ,কৈ , পুঁটি,শিং,টেংরা,খলিশা,রিঠা,বাইম,কুঁচে,কাকরা,চেলা,চুচরা,রয়না, তেলাপিয়া,মাগুর, ছোট চিংড়ি,পাঙাশ, রুই, কাতল ও আইড় মাছের পোনা, বজুরি, কই, পাবদা, ঢেলা ও বাইলা,বাতাসা,প্রভুতি মাছ ।
ব্যাঙ,সাপ ,কচ্ছপ, শামুক, ছোট শামুক সহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণীরাও মারা পড়েছে। ফলেহূমকিতেপড়ছেতাদেরজীবনচক্র,হারিয়েযাচ্ছে এসবজীববৈচিত্র্য ।
স্থানীয় লোকজন বলেন , মৎস্য বিভাগ থেকে প্রতিনিয়ত যথাযথভাবে তদারকি ও অভিযান না চালালে এবং এই চায়না ম্যাজিক জাল বন্ধ না করলে আমাদের এলাকায় মৎস্য ও জলজ সম্পদ সম্পূর্ন নির্মূল হয়ে যাবে। তাই প্রশাসন সহ মৎস্য বিভাগের প্রতি বিশেষ অনুরোধ যেসমস্ত হাট বাজারে এই চায়না ম্যাজিক জাল বিক্রি করে এবং যে সকল জলাশয়ে ম্যাজিক ফাঁদ পাতে সেই সমস্ত স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন।
সরেজমিনে দেখাযায়,উপজেলার কলাবাড়ী,রামশীল,রাধাগঞ্জ, আমতলী, সাদুল্লাপুর,বান্ধা বাড়ি,কান্দি,কুশলা ইউনিয়নের বিভিন্ন জলাশয়ে,খালে,ডোবা জায়গায়,নালার ধারে এই চায়না ম্যাজিক জাল ব্যবহার করে আসছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ধরা পড়েছে এসব মাছ ও জলজ প্রাণী।
বৃহস্পতিবার উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের তেঁতুল বাড়ী,পেটকাটা,কুমুরিয়া, রামনগর, কলাবাড়ী,বুরুয়া,মাছপাড়া হিজল বাড়ি সহ অন্যান্য জলাশয়ে এই জালের ফাঁদ পেতে মাছ শিকার করতে দেখা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, আমাদের এলাকায় এই জালের ব্যবহারের কারণে মুক্ত জলাশয়ের মাছ শেষের পথে, এখন আর আগের মত মাছ দেখা যায় না। হাতের নাগালেই এই জাল পাওয়া যায় বলে এলাকার শত শত মানুষ কালিগঞ্জ বাজার থেকে এই জাল উন্মুক্ত ভাবে কিনে নিচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে এই কারেন্ট জাল, চায়না ম্যাজিক জাল এগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।