বরিশাল :- দশ হাজার গবাদি পশুর ছবি ও বিক্রেতার নাম-ঠিকানা আপলোড করা সত্বেও বরিশালে অনলাইন গরুর হাটে ক্রেতাদের সাড়া মেলেনি। গত ২৫ জুন থেকে বুধবার দিবাগত রাত পর্যন্ত অনলাইনে একটি পশুও বিক্রি হয়নি।
তবে মাত্র সাতটি গরু কেনা-বেচার জন্য কথা হয়েছে মাত্র। বরিশালে করোনার মধ্যেও স্ব-শরীরে হাটে উপস্থিত হয়ে পশু ক্রয়ে আগ্রহ রয়েছে ক্রেতাদের। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নুরুল আলম জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর গত ২৫ জুন থেকে ‘অনলাইন কোরবানির হাট বরিশাল’ নামে একটি অনলাইন পশুর হাট চালু করে। গত ২০ দিনে অনলাইন পশু হাটে মোট ১০ হাজার গরু ও ছাগলের ছবি এবং বিক্রেতার নাম আপলোড করা হয়। কিন্তু বুধবার দিবাগত রাত পর্যন্ত একটি পশুও বিক্রি হয়নি। তিনি আরও জানান, বরিশালে কোরবানীর পশু ক্রেতারা মূলত স্ব-শরীরে হাটে উপস্থিত হয়ে দেখে শুনে দরদাম করে পশু কিনতে আগ্রহী। এ কারণে অনলাইনে পশু বিক্রিতে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছেনা। ক্রেতারা মূলত হাটের জন্য অপেক্ষা করছেন।
বরিশাল সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার জানান, সদর উপজেলা থেকে সরকারি অনলাইন হাটে ১ হাজার ৮৫৭টি গরু ও ২৪৩টি ছাগলের ছবি আপলোড করা হয়েছে। কয়েকজন মানুষ অনলাইনে আলাপ আলোচনা করে কেনার জন্য পশু নির্বাচন করে রেখেছেন। তবে এখনও লেনদেন হয়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, করোনাকালে সরকারি নির্দেশনা অনুসারে বেশ কিছুদিন আগেই অনলাইনে পশুর হাট শুরু করা হয়েছে। অনলাইনে সাড়া তুলনামূলক ভাবে অনেক কম হলেও তিনি (জেলা প্রশাসক) করোনা সংক্রমণরোধে ক্রেতাদের সরকারি অনলাইন পশুর হাট থেকে পশু কেনার আহবান জানিয়েছেন।
অপরদিকে বুধবার রাত পর্যন্ত নগরী এবং জেলায় মোট ২২টি গরুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এরমধ্যে নগরীতে করোনার কারণে মাত্র দুটি হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একটি নগরীর কাউনিয়া বিসিক রোডের বটতলা এলাকায় এবং অপরটি নগরীর রূপাতলী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতুর ঢালে। অপর ২০টি হাট বসছে জেলার ১০ উপজেলায়।
বরিশাল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শহীদুল ইসলাম জানান, করোনার কারনে এবার যাচাই বাছাই করে পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের চাহিদাপত্র অনুযায়ী জেলা প্রশাসন থেকে পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৪ হাজার ২২৬টি বড়-ছোট পশুর খামার রয়েছে। এতে পশু মজুদ রয়েছে ৪৬ হাজার ৬১৯টি। এরমধ্যে ৩৮ হাজার ৩৯৫টি গরু এবং ৮ হাজার ২২৪টি ছাগল রয়েছে।