ঈদের প্রভাব তো থাকছেই

এছাড়া স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। এর ফলে প্রতিদিন শরীর থেকে মল স্বাভাবিক ভাবে নির্গত হতে পারে না। খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণ বা ইচ্ছার ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়ে। এ সমস্যা ছোট-বড় সবার ক্ষেত্রে দেখা গেলেও পঞ্চাশের বেশি বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে খুব বেশি দেখা যায়।

অনেক সময় গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা দেখা যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপরিকল্পিত ডায়েট, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা বংশানুক্রমিক। সময়মতো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর না করলে তা কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

তবে এই সমস্যা দূরে রাখতে আপনার কয়েকটি অভ্যাসই যথেষ্ট। এর মূলে আছে ভুল খাদ্যাভ্যাস। অনেকেই শাক-সবজির বদলে মুখরোচক ভাজাপোড়া নানা খাবার খেতে ভালোবাসেন। আবার পানি পানও করেন না যথেষ্ট।

তাই মেনে চলতে হবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কী মেনে চলতে হবে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে চলুন দেখে নেওয়া যাক-
১. দিনে কমপক্ষে ৩-৩.৫ লিটার পানি পান জরুরি।

২. প্রতিদিনের খাবারে রাখুন একাধিক শাক-সবজি। মৌসুমি সব ধরনের শাক-সবজি খাবেন। ঢেঁড়স রাখুন খাবারের তালিকায়।

কারণ এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সারিয়ে তোলে।
৩. দুপুরের খাবারে সব রকম শাক রাখার চেষ্টা করুন। অনেক বেশি নয়, পরিমাণমতো খাবেন। এটি মল নরম করতে সাহায্য করবে।

৪. কুমড়া, লাউ, পটলসহ সবরকম খেতে হবে। যেসব সবজির খোসা খাওয়া যায়, সেগুলো খোসাসহ খাওয়া উচিত।

৫. শসা খান খোসাসহ। কলা, পেয়ারা, লেবু, আম, জামসহ বেশির ভাগ ফলেই ফাইবার আছে। নিয়ম করে দিনে ৩-৪টি ফল খেলে ভালো হয়।

৬. মলত্যাগের জন্য দীর্ঘ সময় বসে চাপ দেবেন না, এতে সমস্যা বাড়ে।

৭. ধূমপানের অভ্যাস ছেড়ে দিতে হবে। মদ্যপানেও সমস্যা বাড়ে। মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।

৮. কাবাবের মতো ঝলসানো মাংস খাবেন না।

তথ্য সংগ্রহে শাহজাহান সরকার।।

Share.
Exit mobile version