রাঙা প্রভাত অনলাইন ডেস্ক।। গ্রিসের রাজধানী অ্যাথেন্সের উত্তরে অনিয়ন্ত্রিত একটি দাবানলের তাণ্ডবে কয়েক ডজন বাড়িঘর পুড়ে গেছে। ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবদাহের মধ্যে ৮১টি পৃথক অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলা করছে দেশটি। কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাঁচ শতাধিক দমকল কর্মী ৯টি হেলিকপ্টার, সাতটি এয়ারক্রাফট ও ৩০৫ জন পুলিশ সদস্যের সহায়তায় পারনিথা পর্বতের নিচের দিককার ঢালের ব্যাপক গাছপালাসমৃদ্ধ ভেরিমপপি ও অ্যাডামস শহরতলির আগুন নেভাতে প্রাণপণ লড়াই করেন। গ্রিসের বেসামরিক সুরক্ষা উপমন্ত্রী নিকোস হারদালিয়াস বলেছেন, ‘দেশের জন্য খুবই সংকটময় দিন, চরম আবহাওয়ার কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় বনে পৃথক ৮১টি আগুনের খবর পেয়েছি আমরা।’

 

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা এবং তীব্র বাতাস গ্রিসের বিভিন্ন অঞ্চলে দাবানল উসকে দিয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির কোথাও কোথাও ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বলেও রয়টার্স জানিয়েছে। অ্যাথেন্সের উত্তরের অগ্নিকাণ্ড ভেরিমপপি, অ্যাডামস ও থ্রাকোমাকেদোনাস শহরের অসংখ্য বাড়ি পুড়িয়েছে, এখানকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে।

এর আগে একটি সামার ক্যাম্প থেকে সব শিশুকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং অ্যাথেন্সের ২০ কিলোমিটার উত্তরের ভেরিমপপি, অ্যাডামস ও থ্রাকোমাকেদোনাসের শহরতলি থেকে সবাইকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়।

অ্যাথেন্সের উত্তরে এই দাবানল এবং পেলোপোনেস উপদ্বীপ, এভিয়া ও কোস দ্বীপসহ অন্যান্য কয়েকটি এলাকার দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় সমন্বয়সাধন করা দমকলের একটি পরিচালনা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস। তার কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একাধিক জায়গায় (আগুন নেভানোর) লড়াইয়ে সম্ভাব্য সব উপায় ও সম্পদ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংকটাপন্ন এই সময়ে অগ্রাধিকার হচ্ছে মানুষের জীবন রক্ষা।’ গ্রিসের প্রতিবেশী তুরস্ককেও মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা সাত দিন ধরে দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে লড়তে হচ্ছে। দেশটিতে এবারের দাবানল এরই মধ্যে অন্তত আট জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

Share.
Exit mobile version