কামরুল হাসান সোহাগ
দেশে করোনা সংকটের শুরু হতে আজও অবধি ‘সম্মুখসারির যোদ্ধা’ হিসেবে পুলিশের ভূমিকা সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। অতিমারি করোনাকালে বাংলাদেশ পুলিশের বহুমুখী মানবিক ভূমিকা মুগ্ধতাজাগানিয়া, বিস্ময়কর এবং অনুপ্রেরণাদায়ীও।
করোনাকালে পুলিশ বাহিনীর  সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সদস্যগণ বিপর্যস্ত মানুষের পরিত্রাণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে সরকার গৃহীত পদক্ষেপের অন্যতম হলো লকডাউন। আর এই লকডাউন বাস্তবায়নে জনগনকে ঘরে রাখা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ভুমিকা অনন্য। লকডাউনে কর্মহীন মানুষদের বাড়িতে খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেবার দুরূহ কাজটি করছে পুলিশের সদস্যগণ। যখন হাসপাতালে ডাক্তার মিলছিলোনা। দাফন করার মানুষ পাওয়া যাচ্ছিলো না। ছেলে বাবা-মার, বাবা-মা ছেলের কাছে যেতে ভয় পেতো পুলিশ তখন মানুষের পাশে ছিলো। সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় করোনার বিস্তার রোধে পুলিশকে প্রতিটি কাজেই মানুষের খুব কাছে যেতে হয়, মিশতে হয়, তাই নিজের অজান্তেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশের সদস্যগণ। আক্রান্তদের অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। তথাপিও তাদের জনকল্যাণমুখী  কাজ একটুও থেমে নেই। বাংলাদেশে পুলিশের এমন মানবিক ভূমিকা গৌরবের।
তাই একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো পুলিশ যেন আমাদের পাশে থেকে তার মানবিক সেবা নিশ্চিত করতে পারে সেই লক্ষ্যে তাদের সহায়তা করা।
লেখক-
সহ সম্পাদক, ডেইলি রাঙা প্রভাত
প্রধান পৃষ্ঠপোষক, সম্ভাবনার কলসকাঠী
Share.
Exit mobile version