নতুনত্বের ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে হাঁটুরে সেলুল
রফিকুল ইসলাম রনি, বরিশাল :- মানুষ সুন্দার হওয়ার জন্য কতোনা কিছু করে থাকে। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ নিজের রূপকে অন্যের কাছে রূপান্তর করতে ব্যস্থ। আর মানুষকে সুন্দার করা যাদের কাজ তারাই হলো নরসুন্দর। আমরা যাকে আঞ্চলিক ভাষায় বলে থাকি নাপিত। আধুনিকতায় ছোয়ায় বরিশালে হারাতে বসেছে হাঁটবাজারে পিঁড়িতে বসিয়ে চুলকাটা হাঁটুরে সেলুন গুলো। মানুষের সুন্দারর্যের অন্যকরন উপকরন হলো চুল এই চুল নিয়ে যুগে যগে মানুষের ভাবনার অন্ত নেই।
সেই কারনে নাপিতদের কদোরতা ও প্রয়োজনীয়তা আজো ফুরিয়ে যাযনি। একসময় হাঁটবাজারে সাজানো পিঁড়িতে চুল ও দাড়ি কাটতো মানুষেরা। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার মানুষের চুল-দাড়ি কাটার আদিদৃর্শ এখন আর বেশি চোখে পড়েনা। তবে এখনো বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাঁটবাজারে চোখে পড়ে সেই দৃর্শ। তবে আধুনি সভ্যতা ও দৈনন্দিন ক্রমবিবর্তনের ফলে আমাদের দৈনন্দিন গতিধারায় লেগেছে পরিবর্তন। লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। হারিয়ে বসেছে হাঁটবাজারে বসা হাঁটুরে সেলুন।
জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকল বাজারে পিঁড়ি নিয়ে বসা এক নর সুন্দর বলেন, বাব দাদার ঐতিহ্যধরে রাখতে আজোও মানুষকে পিঁড়িতে বসিয়ে চুল-দাড়ি কাটছি। হাঁটুরে সেলুনে চুল দাড়ি কাটতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, এখানে অল্প টাকায় চুল দাড়ি কাটা যায়। টাকার সমস্যা যাদের আছে তারাই আমাদের মতো পিঁড়িতে বসে চুল দাড়ি কাটে।
সেলুন পাড়ায় আধুনিক ছোঁয়া লাগলেও বাব-দাদার আমলের সেই দৃর্শ ধরে রেখেছে এ নরসুন্দররা। স্বল্প খরচে চুল কাটছেন তাদের কাছে স্থানিয়রা।