বিশেষ প্রতিনিধি।।ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পটুয়া-ভগদগাজী কাঁচা রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাস্তার বেহাল দশার কারনে। গত মঙ্গলবার ওই রাস্তার পাইকপাড়া গ্রামে শতাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে কাদা স্থানগুলোতে ধানের চারা লাগায়। কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় র্বষা মৌসুমে শিশু, বৃদ্ধ ও নারীদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানায়, জেলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মধ্যে এটি একটি কাঁচা রাস্তা। জেলার উত্তরের শেষ রুহিয়া হয়ে দক্ষিণে রাণীশংকৈল উপজেলার একমাত্র সোজা রাস্তাটি মাঝ খানে প্রায় ৫ কিলোমিটার (পটুয়াÑভগদগাজী) কাঁচা। এর মধ্যে পাইকপাড়ার ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার জন্য স্থানীয় সরকারের প্রকৌশল অধিদপ্তর একাধিকবার মাপযোগ করলেও আজও পাকা হয়নি। পাইকপাড়ার রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় জেলা সদরে প্রবেশে সহজ হওয়ায় সদরের রহিমানপুরে পাইকপাড়া, গোয়াপাড়া, বালাপাড়া জামালপুরের জামালপুর, বড় দিঘী, ফুটকিবাড়ী, বিশ্বাসপুর, ভগদগাজী, পীরগঞ্জ উপজেলার জনগাঁও, চাপাপাড়া, রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার, বাংলাগড়, ফতেপুর, রাতোরসহ লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের রাস্তা এটি।
সদর উপজেলার পাইকপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাসেদুর রহমান বলেন, রাস্তায় কাঁদার পরিমাণ এতবেশি যে বেশির ভাগ মুসল্লি মসজিদে আসতে পারে না, শিশুরা মাদ্রসায় আসে না। রাস্তায় যেহেতু চলাচল করা যায় না সে কারণে ধানের চারা লাগিয়েছি। পাইকপাড়ার মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুণ অর রশিদ বলেন, রাস্তায় কাদার কারণে জীবণের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। অহরহ মোটরসাইকেল কাদায় পড়ে আহত হচ্ছেন। রাস্তাটি পাকা করা খুবই জরুরি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রকৌশলী ঈসমাইল হোসেন বলেন, পটুয়া-ভগদগাজীর রাস্তাটি মেগা প্রজেক্টে আছে। প্রজেক্ট পাশ হলে কাজ শুরু হবে। আপাতত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী ব্যবস্থা করা হবে।

Share.
Exit mobile version