বিশেষ প্রতিনিধি।। রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে প্রায় ১২ মণ ওজনের বিশাল আকারের শাপলা পাতা মাছ। মাছটি লক্ষাধিক টাকায় বিক্রিও হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ৭টার দিকে দৌলতদিয়া ৭ নং ফেরী ঘটের অদূরে গভীর পদ্মায় বাবু সরদার নামে এক জেলের জালে মাছটি ধরা পরে।
দৌলতদিয়া আড়ৎদার মো: রেজাউল ইসলাম মাছটি বিক্রির জন্য বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ী জেলার বড় বাজারের আড়ৎদার কুটি মন্ডলের কাছে নিয়ে আসেন। সেখানে মাছটিকে এক নজর দেখতে শত শত উৎসুক জনতা ভীড় জমায়। এ সময় সবাই মাছটির ছবি তুলতে পচুর ভীরে বেচাকেনায় রিতিমত হিমশিম খেতে হয়।
জেলে বাবু সরদার বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় মাছ ধরার জন্য পদ্মা নদীতে আমরা জাল ফেলি। রোববার ভোরে ফেরী ঘাটের অদূরে জাল ফেললে অনেক ওজন টের পাই। তখন মনের কাছে কেমন যেনো সন্দেহ লাগছিলো কিন্তু পরে দেখা গেলো বিশাল আকৃতির মাছ । পরে কয়েকজন মিলে ঘন্টা খানেক চেষ্টার পর মাছটিকে নৌকায় তুলতে পারি।
দৌলতদিয়ার স্থানীয় আড়ৎদার বলেন, মাছটির ওজন প্রায় ১২ মণ। রাজবাড়ী জেলার বড় বাজারের বিশিষ্ট মৎস আড়ৎদার কুটি মন্ডলের কাছে ৮ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করলাম। এরপর সে মাছটি কিছুটা লাভে বিক্রি করবে। মাছটির বয়স কমপক্ষে ৩০ বছর হবে।
কয়েক যুগ ধরে রাজবাড়ী জেলার মাছ বাজারের মাছ কেটে দেবার কাজ করেন ক্ষীর মোহন বিশ্বাস।প্রায় ২০ বছর আগে এমন একটি মাছ রাজবাড়ী বাজারে উঠেছিলো। তখন মাছটি আমি কেটে ছিলাম। অনেক দিন পরে আবার এতো বড় শ মাছ দেখে ভালো লাগলো।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ জানান, পদ্মা নদীতে এমন মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না। তবে এই মাছ খাওয়ার দিক থেকে জনপ্রিয় না বলে দামও বেশি না। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, দশন, কৌনা, কচাল ও চাকা ওয়ালা ঘাইলা ব্যার জালে ধরা পড়ে।
উল্লেখ্য, মাছটির ইংরেজী নাম স্টিংরে ফিস এবং বৈজ্ঞানিক নাম হিমানটুরাইমব্রিকাটা। এ মাছগুলো নদী ও সাহরের সঙ্গমস্থলে থাকে। তবে এ দেশের বড় নদী গুলোতেও এদের ১২ থেকে ১৩টি প্রজাতি রয়েছে। স্থানীয়ভাবে একে শাপলা পাতা, শাকুশ, হাউস পাতা মাছও বলা হয়ে থাকে।