এলিসন সুঙ, মৌলভীবাজার :-  মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পুঞ্জির পান গাছ কাটা এবং খাসি ও গারো  আদিবাসীদের উপর হামলার ঘটনায়  সম্মিলিত নাগরিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন হয়েছে।
২ সেপ্টেম্বর( বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১১টায়  মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কার্যত জনসমাবেশে পরিণত হয়।
মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি ডাডলি ডেরিক প্রেন্টিস এর সভাপতিত্বে ও  আইনজীবী আবুল হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিবি) মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিলিমেষ ঘোষ, বাসদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য মঈনুর রহমান মগনু, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, লক্ষ্মীপুর মিশনের পাল পুরোহিত ফাদার যোসেফ গোমেজ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাধাপদ দেব সজল, বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের মহাসচিব ফিলা পতমী, খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি জিডিশন প্রধান সুছিয়াং, যুব ইউনিয়ন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর জয়েস, চা জনগোষ্ঠী আদিবাসী ফ্রন্টের সভাপতি পরিমল সিং বাড়াইক, বৃহত্তর সিলেট ত্রিপুরা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জনক দেববর্মা, বাপা মৌলভীবাজার শাখার সমন্বয়ক আসম সালেহ সোহেল, লাউয়াছড়া বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক কাজী শামসুল হক, কবি ও সাংবাদিক  জাবেদ ভূঁইয়া, খাসি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সভাপতি জনি লাংবাং, খাসি সেবা সংঘ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক নিউয়েল নায়াং, শ্রীচুক গারো যুব সংস্থার প্রতিনিধি আশীষ ডিও, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংস্থার সভাপতি তমাল আজিম, আইনজীবী বিমল এলগিরি, করোনামুক্ত শ্রীমঙ্গল চাইয়ের সংগঠক প্রীতম দাশ, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা কমিটির সভাপতি পিনাক দেব, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সহসভাপতি বিশ^জিৎ নন্দী, আদিবাসী নেত্রী মনিকা খংলা, মানবাধিকার কর্মী হেলেনা হীরামন তালাং প্রমুখ।
এ সময় নিপীড়িত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পক্ষে ৯ দফা দাবী তুলে ধরে বক্তারা বলেন, কথিত সামাজিক বনায়নের নামে খাসি পুঞ্জি দখলের ষড়যন্ত্র, অপচেষ্টা  হামলা মামলা চালিয়ে স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে বিনষ্ট করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রফিক গং ও তার  পোষ্ট সন্ত্রাসীরা।
তারা প্রশাসন ও সরকারের কাছে মৌলভীবাজার জেলার ডলুছড়া, বেলুয়া, কুঁকিজুড়ি পুঞ্জিসহ সকল পানপুঞ্জির আদিবাসীদের জান মাল জীবনজীবিকার নিরাপত্তার বিধান চেয়ে বলেন, কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ডলুছড়া পান পুঞ্জির ৫০ টি পরিবারকে সামাজিক বনায়নের নামে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা  চলছে।
এতে করে বড়লেখার ডলুছড়াসহ কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ২৫ টি পুঞ্জির আদিবাসীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করেছে।
অবশেষে মৌলভীবাজারের ডলুছড়া ও বেলুয়াছড়াসহ অন্যায়ভাবে পানগাছ কাটা এবং আদিবাসীদের উপর দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত রফিক মিয়া গংয়ের সন্ত্রাসী বাহিনীকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচার আওতায় আনার জন্য দাবি জানান ও বন কর্মকর্তাকে অন্যথায় স্থানান্তরিত করার জন্যে জোরদাবি জানান।  জেলার সকল প্রান্তিক আদিবাসী জাতিসত্তা সমূহের ঐতিহ্যগত ভূমির মালিকানা এবং শান্তিপূর্ণ ভোগদখল নিশ্চিত করা জন্যে ৮ দফা দাবি নিয়ে সন্মিলিত নাগরিক সমাজের
প্রতিবাদী  মানববন্ধন ও স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক বরাবর প্রদান করা হয়।
Share.
Exit mobile version