নিজস্ব প্রতিবেদক:- পূর্ব শত্রæতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে অবসারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হক মাষ্টার ও তার দুই ছেলেকে মারধর এবং পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউপির চরউত্তর ভূতেরদিয়া গ্রামে।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, বৃস্পতিবার রাত্র আনুমানিক ৯টা ত্রিশ মিনিট সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হককে তার বাড়ির পাশের রাস্তায় একা পেয়ে প্রতিপক্ষ ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার ও তার দুই ছেলে মেহেদী হাসান, ইমাম হোসেন, কাউসার হোসেন হাওলাদার ও তার ছেলে ঈয়ামিন হাওলাদার, আনোয়ার হাওলাদার ও তার তিন ছেলে ডালিম হাওলাদার, নুরুজ্জামান ও কামরুজ্জামান হাওলাদার গংরা মারধরের চেষ্ঠা করলে তিনি দৌরে যেয়ে জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এইচ এম মিজানুর রহমানের বসত ঘরে আশ্রয় নেয়। মারধর এমন ঘটনা মুক্তিযোদ্ধার ছেলেরা শুনতে পেয়ে তাদের বাবাকে উদ্ধারের জন্য ছুটে আসলেও তাদেরকেও পিটিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা।

অভিযোগে এছাড়াও ঘটনার সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মিজানুর রহমান মাষ্টারের বসতে ঘরে বেরাতে আসা তার ৭০ বৎসর বয়সি সেঝো বোন মোসা: রানু বেগমকে ঘরের দরজার লাট দ্বারা আঘাত করে এতে তার মাথায় জখম হয়। মারপিট ফেড়াতে যেয়ে আহত হয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের স্কুলে পড়–য়া ছোট মেয়ে আফসানা আক্তার মিমি। আহতদের উদ্বার করে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানিয়রা।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এইচ এম মিজানুর রহমান বলেন, প্রতীপক্ষের হাত তেকে রক্ষা পেতে আমার ঘরে আশ্রয় নেয় মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হক মাষ্টার। প্রতীপক্ষদের বুঝানোর চেষ্ঠা করিলেও তারা আমার বসত ঘরের ভিতরে ডুকে সামসুল হককে মারধর করে এবং বেড়াতে আসা আমার সেঝো বোনকে ওরা দরজার লাট দ্বারা মাথায় আঘাত করে এতে তার মাথায় বড়ধরনের জখম হয়।

বেড়াতে এসে আহত মোসা: রানু বেগম।

আহত মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হক ফোনে জানান, পূর্বশত্রæতার জেরে পরিকল্পীত ভাবে আমাকে মারধর ও জখম করে আমার প্রতীপক্ষরা।

আগরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা বলেন, জমিসংক্রান্ত বিষায়দী নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হক গুরুত্বর আহত হন। তবে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নি অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Share.
Exit mobile version