বিশেষ প্রতিনিধি।।বয়স ২৫ বছরের কম হওয়ায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যপদপ্রার্থী ইসমত আরার প্রার্থিতা বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
ইসমত আরা ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনে একই ইউপির সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে তিনি একই ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী হয়ে জিততে পারেননি। ২০১৯ সালে আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।
খোঁজ নিয়ে জানা জানা গেছে, ইসমত আরার প্রকৃত বয়স ৪০ বছরের কাছাকাছি। তাঁর ২০ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। কয়েক বছর আগে ইসমত আরা তাঁর মেয়ের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন। এরপর তিনি এইচএসসিও পাস করেন। ইসমত আরা তাঁর এসএসসি পরীক্ষার নিবন্ধনে বয়স কমিয়ে দেন। পরে এসএসসি পাসের সনদ দিয়ে বয়স কমিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেন।
রুকিন্দীপুর ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম আজ শুক্রবার দুপুরে বলেন, রুকিন্দীপুর ইউপির সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপদপ্রার্থী ইসমত আরার জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ২৫ নভেম্বর ১৯৯৬ সাল উল্লেখ রয়েছে। তিনি ১৬ অক্টোবর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন পর্যন্ত ইসমত আরার বয়স ২৪ বছর ১০ মাস ২১ দিন। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ২৫ বছরের নিচে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। ইসমত আরার বয়স ২৫ বছরের কম হওয়ায় তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসমত আরার আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ইসমত আরা বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়স ২০ বছর। শিক্ষার কোনো বয়স নেই জেনে আমি আমার মেয়ের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছি। পরে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছি। তখন অন্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে বয়সের মিল রেখে ও সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ পেতে আমিও বয়স কমিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করেছি। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বয়স ২৫ বছরের কম হওয়ায় সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্যপদে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর আগে আমি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। আবারও একই পদে প্রার্থী হয়ে বয়সের সীমার বিষয়টি জেনেছি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলাম। এসব প্রমাণপত্র নিয়ে আমার প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আপিল করব। সবকিছু বিবেচনায় প্রার্থিতা ফিরে পাব বলে আশা করছি।’ ইসমত আরা বলেন, ‘আমার প্রকৃত জন্ম সাল ১৯৮২।

Share.
Exit mobile version