স্পোর্টস ডেস্ক।।  শঙ্কা কাটিয়ে সুপার টুয়েলভের মিশনে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। আইসিসির নিয়ম পরিবর্তন এবং গ্রুপ পর্বে রানার্সআপ হওয়ায় এবার তাদের সঙ্গী শ্রীলংকা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড দল। আগামী ১২ দিনের মাঝে আসরটির মূল পর্বের ৫টি ম্যাচ খেলবেন টাইগাররা। আজ সেমিফাইনালে ওঠার পর্বের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে লড়বেন মাহমুদউল্লাহ-সাকিবরা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে শারজায় বিকেল চারটায় শুরু হওয়া ম্যাচে খুব বেশি আতঙ্ক নেই। তবে প্রত্যাশা, প্রতিপক্ষ আর কন্ডিশনের সঙ্গে পরিচিতি থাকার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় পর্বে দারুণ শুরু করবে টাইগাররা এমন আশা টাইগার কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর।

এর আগে, টি-টোয়েন্টিতে লংকানদের সঙ্গে ১১ বারের দেখায় চারবার জিতেছে বাংলাদেশ। বাকি ৭টি ম্যাচে জয় পেয়েছে শ্রীলংকা। তবে আশার খবর হলো, মুখোমুখি শেষ দুই ম্যাচের দুটিতেই লংকানদের হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেটাও আবার তাদের মাটিতে। ফলে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে মাহমুদউল্লাহরা কিছুটাও এগিয়ে থাকবেন। তাছাড়া গ্রুপ পর্বে টানা দুই জয়েও টাইগাররা রয়েছে বেশ ছন্দে।

তবে বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টিতে ঠিকঠাক ভাবে পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারছেন না। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পারছেন ডোমিঙ্গোও। তিনি মনে করেন দলকে বড় স্কোর গড়ার ভিত গড়তে প্রথম ছয় ওভারকে কাজে লাগাতে হবে। তবে সুপার টুয়েলভের শুরুতেও বাংলাদেশ কোচ ভরসা রাখছেন নাঈম-লিটনের ওপর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ জানালেন, ওপেনিংয়ে কোনো পরিবর্তন আসছে না। পরিবর্তন নাও আসতে পারে গত ম্যাচের একাদশে। তবে কোচের দুর্ভাবনার পুরোটাই ব্যাটিং নিয়ে।

কোচ ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমার মনে হয়, সব সময়ই প্রতিটি বিভাগে উন্নতির জায়গা থাকে। আমরা জানি, ব্যাট হাতে শুরুতে, মাঝে কিংবা শেষে আমরা এখনো জ্বলে উঠতে পারিনি। বল হাতে আমরা যেমন করছি, তাতে আমি খুশি। ফিল্ডিংয়েও বেশ ভালো করছি আমরা।’

তবে মন্থর উইকেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়ে রেখেছেন লংকান অধিনায়ক দাসুন শানাকা, ‘আমরা কাল খুব ভালো ম্যাচ আশা করছি। কোয়ালিফায়ার থেকে তারা ভালোভাবেই উঠেছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দিনে আমরা কী করতে পারি সবাই জানে। আমার মনে হয় একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে।’

তবে টাইগার কোচ নিজের দলকে রাখলেন এগিয়ে। তিনি বলেন, ‘দক্ষতাসম্পন্ন বোলার ও কিছু বিপদজনক ব্যাটসম্যানদের নিয়ে আমাদের দল ভারসাম্যপূর্ণ। আমাদের আছে সাকিবের মতো বিশ্বমানের অলরাউন্ডার। এই ধরনের কন্ডিশন আমাদের সঙ্গে মানানসই। শারজার উইকেটগুলো ঢাকার মতোই। আশা করি সেটা কালকের ম্যাচে আমাদের সহায়তা করবে।’

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর থেকে খেলছে বাংলাদেশ। মূল পর্বে শুরুর বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল টাইগাররা। এরপর প্রতিবার তাদের ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙার প্রত্যয় জানিয়ে এবার খেলতে এসেছেন মাহমুদউল্লাহরা। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে একটা সময় আগেভাগেই বিদায় নেওয়ার শঙ্কা জাগলেও শেষ পর্যন্ত টানা দুই জয়ে টিকে যায় তারা। এবার আগামীকাল শুরু হলো সাকিব-রিয়াদদের স্বপ্নের সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াই।

Share.
Exit mobile version