অনলাইন ডেস্ক।। জয় যেন এখন বাংলাদেশের কাছে আকাশের চাঁদ। দেখা গেলেও গন্তব্যে পৌঁছা যাচ্ছে না। পরাজয়ের বৃত্তে আটকে পড়েছে বাংলাদেশ দল। কখনো ক্যাচ মিস হচ্ছে, কখনো বোলাররা দিশেহারা।
সম্মিলিত ব্যর্থতায় টি-২০ বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে হার। স্বপ্নের টি-২০ বিশ্বকাপ এখন দুঃস্বপ্নের আসর।
এদিকে, হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে দুই ম্যাচ আগে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন সাকিব আল হাসান, তলপেটের চোটে কিপার-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানের খেলার সম্ভাবনাও কম।
অর্থাৎ বাংলাদেশ স্কোয়াডে এখন সুস্থ ক্রিকেটার আছেন ১৩ জন। সেরা সমন্বয় এমনিতেই সম্ভব না। কিন্তু পরের ম্যাচে আরও কেউ চোটে পড়লে একাদশ সাজানো নিয়েই সংকটে পড়তে হবে বাংলাদেশ দলকে।
এ বিষয়ে বিসিবি জনিয়েছে, সাকিব ছিটকে গেলেও তার বদলি হিসেবে আর কাউকে স্কোয়াডে যুক্ত করা হচ্ছে না।
সে উপায়ও অবশ্য নেই। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন চোটে পড়ে ছিটকে যাওয়ায় দলের সঙ্গে থাকা একমাত্র রিজার্ভ খেলোয়াড় রুবেল হোসেনকে আগেই মূল স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে।
দেশ থেকে বদলি কাউকে নিয়ে গেলে সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করতে তাকে থাকতে হবে বাধ্যতামূলক ৬ দিনের কোয়ারেন্টিন। কিন্তু গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের শেষ দুই ম্যাচ এই ৬ দিনের মধ্যেই। অর্থাৎ বদলি ক্রিকেটার স্কোয়াডে যুক্ত হওয়ার আগেই দলের খেলা শেষ হয়ে যাবে।
মূলত সেমিফাইনালের বাস্তবত নেই এটা মেনেই আগামীকাল ২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ৪ নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জোড়াতালির একাদশই মাঠে নামাতে হবে বাংলাদেশকে।
এমনিতে একাদশের বাইরে অফিসিয়াল একজনকে রাখা হয় দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে। ম্যাচের মধ্যে একাদশের কারো সমস্যা হলে বদলি ফিল্ডার হন তিনি। স্কোয়াডের বাকিরা ড্রিংকস বিরতিতে ড্রিংকস, অন্যান্য সহায়তা সরঞ্জাম বহন করে নিয়ে মাঠে যান। এসব কিছুর জন্যই বাংলাদেশ স্কোয়াডে থাকছেন কেবল দুজন। এরমধ্যে কোন কারণে পরের দুই ম্যাচের আগে বা ম্যাচের মধ্যে কেউ চোটে পড়লে আরও বিপাকে পড়তে হবে মাহমুদুল্লাহদের।