আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। আফ্রিকার দরিদ্র দেশ নাইজারে খড়-কাঠ দিতে তৈরি ক্লাসরুমে আগুন লেগে ৫ থেকে ৬ বছর বয়সী ২৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
তারা জানায়, সোমবার সকালে নাইজারের মারাদি অঞ্চলে ওই স্কুলে আগুন লাগার ঘটনায় ১৩ জন শিক্ষার্থীও আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। কি কারণে আগুন লেগেছে বলে জানা গেছে।
মারাদি সিটি মেয়র চাইবউ আবুউ বাছার জানান, আগুন লেগে অন্তত ৩টি ক্লাসরুম পুরো ভস্মীভূত হয়ে গেছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, তারা ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু মৃতদেহ নিয়ে যেতে দেখেছেন।
আহত অনেক শিশুকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে আগুন লাগার ঘটনায় স্কুলের সব ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে আগুন লাগার পর নাইজার সরকার বিবৃতি দিয়ে জানায়, “এই মর্মান্তিক ঘটনাটি আবার নাইজেরিয়ান জনগণকে শোকের মধ্যে ফেলেছে,” সরকার আরও জানিয়েছে, কাঠের ক্লাসরুম এখন থেকে সারা দেশে নিষিদ্ধ করা হবে।
নাইজার টিচার্স ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল ইসুফো আরজিকা এএফপিকে জানান, সোমবারের অগ্নিকাণ্ড মারাদির স্কুলটিকে “ধ্বংস” করেছে। এর আগে এ বছরের এপ্রিলে নিয়ামি নামে এক জেলায় আগুন লেগে ২০ জন শিশু পুড়ে মারা যায়।
আরজিকা বলেন, নিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের পর তার ইউনিয়ন কর্মকর্তাদের খড় ও কাঠের ক্লাসরুমের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। এদিকে আগুন লাগার ঘটনায় মঙ্গলবার থেকে মারাদি অঞ্চলে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
নাইজার, বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ, যেখানে হাজার হাজার খড় এবং কাঠের শেড নির্মাণ করে স্কুল ভবনের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা মেটানো হয়। যেখানে শিশুরা কখনও কখনও মাটিতে বসে থাকে।
অত্যধিক দাহ্য শ্রেণীকক্ষে অগ্নিকাণ্ড সাধারণ ঘটনা। তবে এত বেশি মৃত্যু ঘটনা বিরল বলে জানিয়েছে বিবিসি।