শাহজাহান সরকার,বিশেষ প্রতিনিধি।। পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে চলতি মৌসুমে পুঁটি মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে স্থানীয় শুঁটকি ব্যবসায়ীরা পুঁটি মাছ চাতালে নিয়ে শুকানোর কারণে হাট-বাজারে পুঁটি মাছের দেখাই মিলছে না।
জানা যায়, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিল সংলগ্ন চরদুলাই, হাটখালী, সুজানগর মসজিদপাড়া, ভাটিকয়া এবং শাড়ীরভিটাসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে শুঁটকির চাতাল। শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ী বিল থেকে মৎস্যজীবীরা পুঁটি মাছ ধরামাত্র চড়াদামে কিনে ওই চাতালে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে হাট-বাজারে পুঁটি মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলার হাটখালী গ্রামের আজাহার আলী শেখ বলেন, বৃহত্তর গাজনার বিলসহ আশপাশের বিভিন্ন বিলে প্রচুর পরিমাণে পুঁটি মাছ রয়েছে। স্থানীয় মৎস্যজীবীদের জালে প্রতিদিন শত শত মণ পুঁটি মাছ ধরাও পড়ছে। কিন্তু ওই মাছ হাট-বাজারে উঠছে না। হাট-বাজারে যাওয়ার আগেই শুঁটকি ব্যবসায়ীরা বিল থেকে সরাসরি পুঁটি মাছ কিনে শুঁটকির চাতালে নিয়ে যাচ্ছে। গাজনার বিলপাড়ের দুলাই গ্রামের রমজান আলী বলেন, বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে শুষ্ক মৌসুম আসলেও হাট-বাজারে পুঁটি মাছের তেমন দেখা নেই। অথচ গাজনার বিলসহ আশপাশের ৭/৮টি বিলে পর্যাপ্ত পুঁটি ধরা পড়ছে। কিন্তু শুঁটকি ব্যবসায়ীরা বিলপাড় থেকে পুঁটি মাছ কিনে নিয়ে যাওয়ায় আমরা হাট-বাজারে পুঁটি মাছ পাচ্ছি না। একই এলাকার ভ্যান চালক আব্দুল মজিদ বলেন, অন্যান্য মাছের চেয়ে পুঁটি মাছের দাম কম। আমরা অভাবী মানুষ বড় মাছ কিনতে পারি না। হাট-বাজারে পুঁটি মাছ উঠলে কিনে খেতে পারতাম। কিন্তু শুঁটকি ব্যবসায়ীদের কারণে তাও পারছি না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান বলেন, উপজেলার খাল-বিলে প্রচুর পুঁটি মাছ আছে। শুঁটকি ব্যবসায়ীদের কারণে হাট-বাজারে পুঁটি মাছের আমদানি কম।

Share.
Exit mobile version