আন্তর্জাতিক অনলাইন ডেস্ক।। পরকিয়া সম্পর্কের জেরে বালিশ চাপা দিয়ে দুই বছরের শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক মায়ের বিরুদ্ধে। শনিবার ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার উত্তরবাড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মা এবং তার প্রেমিককে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ময়না থানার আসনান গ্রামের বাসিন্দা পূজা জানার বিয়ে হয়েছিল পিংলার উত্তরবাড় গ্রামের দেবাশিস জানার সঙ্গে।
দেবাশিস কর্মসূত্রে আন্দামানে থাকেন। সেখানে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।
কিন্তু বিয়ের এক বছর পর এই উত্তরবাড় গ্রামেরই বাসিন্দা দেবাশিস মণ্ডলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে পূজা। আর সেই সুবাদেই তার বাড়ির সামনে চলে যেত প্রেমিক দেবাশিস।
শনিবার দুপুরের পর গ্রামের বাসিন্দারা জানতে পারেন বালিশ চাপা পড়ে পূজার দুই বছরের শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির পরিবেশ স্বাভাবিক ভাবেই শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু কয়েক জনের সন্দেহ হয়েছিল পূজার উপর। এর পর তারা পূজাকে চাপ দিলে তিনি নিজেই সন্তানকে খুনের কথা স্বীকার করেন বলে জানা গেছে।
পূজার বোন কোয়েল বর্মণ বলেন, দিদি স্বীকার করেছে খুনের কথা। ও বলে, ‘আমি বালিশ চাপা দিয়ে মেরে দিয়েছি। দেবাশিসের কথা শুনে মেরে দিয়েছি। ’ এটা দিদি আমাকে বলেছে। আমার দিদির জেল বা ফাঁসি চাই।
পিংলা থানার পুলিশ পূজা এবং দেবাশিসকে আটক করেছে। পূজার বক্তব্য, ‘ওকে বালিশ চাপা দিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারিনি মেয়েটা মারা যাবে। দেবাশিস বাড়ির সামনে আসত। ফোন করত। ’ পূজার প্রেমিক দেবাশিস বলেন, ‘আমার নাম কেন জড়ানো হয়েছে, তা জানি না।