বিশেষ প্রতিনিধি।। বাস-লঞ্চে ভাড়া বাড়ানোর পর এবার ফেরি পারাপারে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি।প্রতি রুটেই বাসের প্রতি ট্রিপেই খরচ বাড়বে সাড়ে ৪০০ টাকা ২৫ টাকার পরিবর্তে যাত্রীপ্রতি ভাড়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ৩২টাকা। প্রস্তাব চূড়ান্ত, ফলে যাত্রী (লুজ) প্রতি ভাড়া বাড়বে ৭ টাকা। পরিবহনবাহী যাত্রীদের ভাড়া কত বাড়বে তা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।

সম্প্রতি সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদ গাড়ি প্রতি ২৫ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো সংক্রান্ত প্রস্তাবটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।ফেরির প্রস্তাবিত নতুন ভাড়া কার্যকর হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে সারা দেশের যাত্রী ও পণ্য পরিবহন ব্যয় আরো বেড়ে যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী ইত্তেফাককে বলেন, লোকসান কমাতে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।কেননা বিআইডব্লিউটিসি নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হয়। নতুন ভাড়া নির্ধারণ না হলে সংস্থাটি চলতে পারবে না। যদিও বর্তমানে সংস্থাটি লোকসানে নেই। গত ৮ নভেম্বর থেকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ বেড়েছে।লঞ্চের ভাড়া বেড়েছে ৩৫ শতাংশ| এই পরিস্থিতিতে ফেরিতে গাড়ি-যাত্রী পারাপারে ২৫ এবং ২০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব চূড়ান্ত।ফলে যাত্রীদের জন্য দুঃসহ হয়ে উঠবে।কেননা ফেরিতে গাড়ি পারাপারের ভাড়া বাড়ানো হলে সেটিও সরাসরি যাত্রীদের ঘাড়ে চাপবে। একইভাবে পণ্য পরিবহন ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। এর মাশুল গুনতে হবে সাধারণ মানুষদের।পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, চাঁদপুর-শরীয়তপুর, ভোলা-লক্ষ্মীপুর এবং লাহারহাট-ভেদুরিয়া-এই ছয়টি রুটে সংস্থাটির ফেরি চলাচল করে| এসব রুটের ফেরিতে বাস পারাপারে বিআইডব্লিউটিসির নির্ধারিত হারে ভাড়া নেওয়া হয়।এর সঙ্গে বাড়তি যুক্ত হয় বাসের আরোহীদের ভাড়াও।বাসের আসন হিসাবে জনপ্রতি ১০ টাকা বা তার বেশি হারে ভাড়া নেয় বিআইডব্লিউটিসি।
পরিবহনবাহী যাত্রীর বাইরে যাত্রী (লুজ) প্রতি ভাড়া নেওয়া হয় ২৫ টাকা করে।নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী লুজ যাত্রীপ্রতি ভাড়া ধরা হয়েছে ৩২ টাকা।অতিরিক্ত ৭ টাকা গুনতে হবে তাদের। গত ১৫ নভেম্বর নথির মাধ্যমে নতুন ভাড়ার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় বিআইডব্লিউটিসির পরিচালনা পর্ষদ।প্রস্তাবিত ভাড়া আদায়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য গত ১ ডিসেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় সংস্থাটি।

বিআইডব্লিউটিসির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) জেসমিন আরা বেগম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিজেলের দাম শতকরা ২৪ শতাংশ বেড়েছে। এ কারণে যাত্রীবাহী নৌযান ও ফেরির তেল ক্রয় খাতের ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে। এছাড়া নৌযানের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনসহ অন্যান্য খাতের ব্যয় ক্রমান্বয়ে বেড়েছে।ব্যয় সমন্বয়ের জন্য ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

Share.
Exit mobile version