আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের উপগ্রহটি হলো চাঁদ। এই উপগ্রহটি নিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা দিন-রাতই চালাচ্ছেন নিত্য নতুন গবেষণা।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে চীনের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা চার বছর আগে ঘোষণা করেছিলেন তাদের কৃত্রিম চাঁদ তৈরির প্রকল্পটির কথা। সেই চাঁদ স্থাপন করা হবে মহাকাশে। তাদের দাবি ছিল এই কৃত্রিম চাঁদ অমাবস্যাতেও আলোকিত করবে পৃথিবী। এবার মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পৃথিবীর বুকে হুবহু চাঁদের পরিবেশ তৈরি হতে যাচ্ছে এমনই দাবি করেছেন সেই চীনা বিজ্ঞানীরা।

তাদের বক্তব্য চাঁদের মাটিতে যতটুকু অভিকর্ষ থাকে, নকল চাঁদটিতেও ততই অভিকর্ষ থাকবে। মানুষ আসল এবং নকল চাঁদ সনাক্তে হিমশিম খেয়ে যাবে। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের গবেষণাকে গতি দেওয়ার জন্যই তাদের এই পৃথিবীর মাটিতে চাঁদের পরিবেশ তৈরি করার ভাবনা।

জানা গিয়েছে চীনের চন্দ্র অভিযান প্রকল্পের মহাকাশচারীদের এই কৃত্রিম চাঁদের দেশেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

কৃত্রিম চাঁদ প্রকল্পের অন্যতম গবেষক চায়না ইউনিভার্সিটি অব মাইনিং অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক লি রুলিনের ভাষ্যমতে, অনেক ক্ষেত্রে বিমানে বা অন্য কয়েকটি পরিস্থিতিতে কিছুক্ষণের জন্য অভিকর্ষ কমে যেতে পারে, তবে যতক্ষণ ইচ্ছে ততক্ষণ অবধি চাঁদের কৃত্রিম পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব।

নকল চাঁদটি হবে দুই ফুট ব্যাসার্ধের। যার পৃষ্ঠে থাকবে চাঁদের মতোই পাথর, ধুলিকণা ও গর্ত। এছাড়া চাঁদের অভিকর্ষ যেমন শূন্য নয় বরং পৃথিবীর অভিকর্ষের ছয় ভাগের এক ভাগ।

ঠিক তেমনটাই থাকছে চীনের কৃত্রিম চাঁদের দেশেও। চাঁদ অভিযান নিয়ে চীন একাধিক মিশন পরিকল্পনা শুরু করেছে গত কয়েক বছর ধরেই। যে মিশনগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে ভবিষৎ ‘পরিবর্তন’ ৬,৭,৮। তার অন্যতম হলো নকল না আসলে চাঁদের বুকেই একটি মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করে ফেলা। সেই কাজে সাফল্য পাওয়ার জন্যই পৃথিবীর মাটিতে চীনের এই কৃত্রিম চাঁদকে স্থাপন করা।

Share.
Exit mobile version