বিশেষ প্রতিনিধি।। ভারতের কলকাতা প্রদেশের কারাগারে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন কক্সবাজারের মহেশখালীর ২৭ জেলে। বঙ্গোপসাগরে মাছধরতে গিয়ে ভারতের জলসীমায় প্রবেশের দায়ে সেখানকার কোস্টগার্ড তাদের আটক করে কারাগারে পাঠান বলে দাবি করেছেন এফবি শাহ আমানত নামের ট্রলার মালিক সাজ্জাদুল ইসলাম।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাছ ধরতে গিয়ে পুরো ট্রলারটি নিখোঁজ ছিলো। ঘটনার পর থেকে জেলেদের পরিবারে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
ট্রলার মালিক সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, অমল কান্তি নামে কলকাতার এক গণমাধ্যমকর্মী ফোন করে জানিয়েছেন, ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করার দায়ে সেখানকার কোস্টগার্ড তার ট্রলারের ২৭ জন জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়।
আটক জেলেদের গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতার কাকদ্বীপ আদালতে হাজির করা হলে সেখানকার আদালত জলসীমা অতিক্রম সংশ্লিষ্ট আইনে তাদেরকে ১৪ দিনের সাজা প্রদান করেছেন। বর্তমানে তারা কলকাতার ছব্বিশপরগনা জেলার কার্তিক মহুকুমা কারাগারে রয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত জেলেরা আমার নাম্বারটি তাকে দিয়ে ফোন করার অনুরোধ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন কলকাতার ওই সাংবাদিক।
ভারতেবন্দী জেলেরা হলেন- পেঠান আলী-মাঝি (৩৭), খোরশেদ আলম (৪৪), গিয়াস উদ্দিন (৪০), হেলাল উদ্দিন (৪২), সফিউল আলম (৩৪), ফরিদ আলম (৪৫), রবিউল আলম (৩৫), মো. শওকত উদ্দিন (৩০), গোলাম সোলতান প্রকাশ মোস্তাক (৪৩), আব্দু শুক্কুর প্রকাশ (দানু) (৩৮), মো. ইব্রাহিম (২৮), মো. রুবেল (২৬), আব্দুল মজিদ (২৫), নুরুল কবির (৩৫), আব্দুল মজিদ (২৭), কবির হোসেন (৩৩), আব্দুল গফুর (৩২), আব্দু রহমান (৫০), আব্দুল করিম (২৭), রবি আলম (৩১), হামিদ হোসেন (৩৫), শাহেদ মিয়া (১৮), জিহাদ প্রকাশ জাহেদ (২১), আব্দু ছফুর (২৩), মোহাম্মদ জোবাইর (২৮), শফি আলম (৩২) ও মোহাম্মদ কালু (৩৫)। তারা সবাই কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
কুতুবজোম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর বলেন, সাগরে যাবার পরও জেলেরা পরিবারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সাগরে যাবার পর থেকে জেলেরা বাড়িতে যোগাযোগ করেননি আর পরিবার থেকে কল করেও তাদের সাথে সংযোগ না পেয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় ছিলো। কিন্তু তারা কলকাতায় বন্দি রয়েছেন জানার পর কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও তাদের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখছেন পরিবার সদস্যরা।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে মহেশখালীর ২৭ জেলে ভারতের কারাগারে বন্দি বলে খবর পেয়েছি। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে।