দূর্ঘনায় কবলিত প্রাইভেট কার

বিশেষ প্রতিনিধি।। চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মরদেহের ময়নাতদন্তকে কেন্দ্র করে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্বজন ও সতীর্থরা নিহতদের ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার একটু আগে এ ঘটনা ঘটে। চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনায় মনোহরগঞ্জের তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করতে প্রশাসনের কাছে যান স্বজনরা। তবে এতে তারা ব্যর্থ হন। পরে বিকেলে উঘারিয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্র থেকে নিহতদের মরদেহ শাহরাস্তি থানায় নেওয়ার পথে নিহতদের স্বজনরা বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে মরদেহ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। প্রায় আধাঘণ্টা সংঘর্ষের পর পুলিশ তিনজনের মরদেহ নিয়ে থানায় চলে আসে। এ সময় পুলিশসহ অনেকে আহত হয়।

এ সময় ঘটনাস্থলে যান চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়। ঘটনাস্থল থেকে তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়তে হয়েছে। এ ঘটনার পর চিতোষী-হাসনাবাদ সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।

একটি সূত্র জানায়, দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারে মদের বোতল পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, আরোহীরা হয়তো মদ্যপ ছিল। যে কারণে বেপরোয়াগতিতে প্রাইভেট কার চালিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হন।

এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে চিতোষী-চাটখিল সড়কে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে পড়ে গেলে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার শাহপরান তুষার (২২), শাকিল হোসেন (২৬) ও রেজাউল (২৪) এবং যশোর জেলার শার্শা থানার নয়ন (২৫) ও গাজীপুর সদরের উত্তর খাইলপুর গ্রামের সাগর হোসেন (২৪) নিহত হন। প্রথম তিনজন জেলা এবং পরের দুজন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা বেশ কিছু দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাত ৯টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি। সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Share.
Exit mobile version