অনলাইন ডেস্ক।। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। এক দিনে এক কোটির বেশি ডোজ টিকা দেওয়াসহ অল্প সময়ে ২২ কোটি ডোজ টিকা দিয়ে করোনা মহামারি থেকে দেশকে রুখে দেওয়ায় ব্লুমবার্গ করোনা মোকাবেলায় ২০০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে অষ্টম অবস্থানে এনেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি কর্তৃক ‘বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২২’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, এই করোনায় বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন ভয়াবহ তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জিডিপি ৬ প্লাস হয়েছে। মানুষ এখন নিশ্চিন্তে আবার ব্যবসা-বাণিজ্যে মন দিতে পারছে। এগুলো এমনি এমনি হয়নি। এর জন্য স্বাস্থ্য খাতকে দিনরাত কাজ করতে হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এক দিনেই এক কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছি, যা একটি রেকর্ড। আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ২২ কোটি ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে সাড়ে ১২ কোটি ডোজ প্রথম, সাড়ে আট কোটি ডোজ দ্বিতীয় এবং ৫০ লাখ বুস্টার ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, টিকাদান কর্মসূচিতে লক্ষাধিক লোক কাজ করছে। সব টিকা ক্রয় ও টিকা দান কার্যক্রম মিলে এগুলোর পেছনে সব মিলিয়ে সরকারের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহস করে এত বিশাল অঙ্কের টাকার কথা না ভেবে দেশের সবাইকে টিকার আওতায় এনেছেন বলেই দেশবাসী এখন করোনার দিক থেকে অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে। মানুষ আবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে নামতে পারছে।
দ্রুতই দেশের মানুষকে আরো বেশিসংখ্যক বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেভাবে প্রায় এক কোটি মানুষকে গণটিকা দেওয়া হয়েছে। ঠিক সেভাবে দ্রুতই বুস্টার ডোজেরও ক্যাম্পেইন করা হবে। এতে করে দেশ আরো বেশি নিরাপদ থাকবে।
কিডনি রোগীর সংখ্যা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশে এখন প্রায় দুই কোটি কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি আছেন। প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০ হাজার মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এগুলোর কারণে আমরা দেশের প্রতিটি জেলায় আলাদা করে ১০ বেডের ডায়ালিসিস ও ১০ বেডের আইসিইউ বেড করার কাজ হাতে নিয়েছি।
জাহিদ মালেক বলেন, আট বিভাগে আটটি আধুনিক ক্যান্সার, কিডনি চিকিৎসা হাসপাতাল নির্মাণে কাজ শুরু হয়েছে। এগুলো সম্পন্ন হলে দেশের মানুষ নিজ নিজ এলাকায়ই এ রকম জটিল ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা বিনা মূল্যে গ্রহণ করতে পারবে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির পরিচালক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম, নেফ্রলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. নিতাই চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।