বিশেষ প্রতিনিধি।। শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মধ্যযুগীয় কায়দায় ভাতিজা নূর ইসলামকে (৩৫) দুই হাত বেঁধে কোমড় পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রেখেছে তারই আপন চাচা আলিমদ্দিনসহ পরিবারের সদস্যরা।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নূর ইসলামকে উদ্ধার করেছে। এছাড়া জড়িত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তন্তর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন যাবত আলিমদ্দিনের সাথে নূর ইসলামের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার সালিশ হলেও সুরাহা মেলেনি। একপর্যায়ে শনিবার দুপুরে আলিমদ্দিন ও তার স্ত্রী-ছেলে মিলে নূর ইসলামের বাড়িতে যায় এবং তারই বাড়ির আঙিনায় মাটি খুঁড়ে গর্ত করে। পরে বেলা আড়াইটার দিকে নূর ইসলামের দুই হাত পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে প্রায় কোমড় পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখে।

এসময় নূর ইসলামের পরিবারের লোকজন চিৎকার করলেও স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী আলিমদ্দিনের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে খবর পেয়ে বিকেল তিনটার দিকে থানা পুলিশ নূর ইসলামকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

বর্বরোচিত এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আলিমদ্দিন, তার স্ত্রী মনিরা বেগম ও ছেলে মুক্তার হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

এএসআই আমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুঁতে রাখা নূর ইসলামকে উদ্ধার করা হয়।

অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Share.
Exit mobile version