কেএম সোহেব জুয়েল, বিশেষ প্রতিনিধি :-  বরিশালে সেনাসদস্যর হাতে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে স্বামীর সংসার ছেড়ে পিত্রালয় আশ্রয় নিয়েছেন অসহায় সেফা (২২) নামের এক কলেজ ছাত্রী।
এ ঘটনায় অসহায় সেফা জীবনের কোন নিস্তার মিলাতে না পেরে অবশেষে শনিবার ( ২ এপ্রিল)  সকালে জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী পরিচালকের  বরাবরে বিচারের দাবিতে লেখিত অভিযোগ পত্র দায়ের করেন।
সেফা জেলার বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের চরফতেপুর গ্রামের আলী আশ্রাব কবিরাজের কন্যা।  পাশ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের কান্ডপাশা গ্রামের হানিফ বেপারীর পুত্র সেনা সদস্য মাহাবুবের সাথে বিবাহ হয় তার ( সেফার)
প্রেমের পরিচয় তাদের মধ্যে বিয়েহ হওয়ার কথা জানিয়েছেন সেফা। ২০১৯ ইং রং নাম্বারে কল ঢুকে মাহাবুবের সাথে পরিচয় হয় তার( সেফার) পরিচয়ের একপর্যায়ে মাহাবুবের  মিস্টি কথায় প্রেমে পরে যায় সেফা। তারি ধারাবাহিকতায় গত ৬ মার্চ ২০২০ ইং বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট নোটারী পাবলিক  আদালতের মাধ্যমে তার আসল পরিচয় সেনা সদস্যর কথা গোপন করে ব্যাবসায়ি পরিচয় দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য  তিন লক্ষ টাকা মহারানা ধার্য করে বিবাহে বন্ধনে আবদ্ধ হন প্রতারক সেনা সদস্য মাহাবুব।  পরবর্তী সময়ে কাজী দ্বারা বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন করার শর্তে অঙ্গিকার নামায় সই করেও তা অমান্য করে  প্রতারনার জালে ফেঁসে যৌতুকের জন্য মার ধর করতেন যৌতুক লোভী স্বামী সেনা সদস্য মাহাবুব। সেফার সুখের কথা চিন্তে করে তার পিতা মাতা  শেষ সম্বল ভিটে মাটি বিক্রয় করে ৩ লক্ষ টাকা দেন যৌতুক লোভী স্বামি মাহাবুবকে। তাতেও তিনি খ্যান্ত হন নাই।
আবারো টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে সেফাকে মারধর করে  পিত্রালয় পাঠিয়ে দেন পাষান্ড স্বামী মাহাবুর ও তার পরিবারের লোকজন। নির্যাতিত সেফা তার জীবনের নিস্তার মিলাতে না পেরে অবশেষে  বিচারের দাবিতে মানবাধিকারের সংগঠনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
Share.
Exit mobile version