লাইফস্টাইল ডেস্ক।। মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ। এ উপলক্ষ্যে নতুন পোশাক কেনার ধুম পড়ে। এবং প্রতিবারই এক শ্রেণীর বিক্রেতা ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য বাজারচলতি বিষয় উপজীব্য করে পোশাকের নাম রাখেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
সম্প্রতি সিনেমাপাড়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে আল্লু আর্জুন অভিনিত ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমাটি। পুষ্পার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভারতের বীরভূমের বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকারের ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি। ঈদ সামনে রেখে বাজারে এসেছে কাঁচা বাদাম ও পুষ্পা ড্রেস। ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে এই নামে নারীদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়ও দেখা গেছে দোকানগুলোতে। বিশেষ করে ঢাকার ইসলামপুর, ফুলবাড়িয়া, গ্রেটওয়াল, গুলিস্থান, বঙ্গবাজারসহ পুরনো ঢাকার বিভিন্ন শপিংমলগুলোতে চমকপ্রদ এ নামে পোশাক দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে নারীদের জন্য লাল, নীল, কালো, সবুজ, হলুদসহ ছয় রকমের কাঁচা বাদাম এবং তিন রকমের পুষ্পা ড্রেস পাওয়া যাচ্ছে। পোশাকগুলোর প্রতি ক্রেতার আগ্রহও লক্ষ্য করা গেছে। কাপড়ের মানের পাশাপাশি এই পোশাকের কালার কম্বিনেশন চমকপ্রদ। প্রতিটি কাঁচা বাদাম ড্রেসের মূল্য ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং পুষ্পা ড্রেস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-১৩০০ টাকা পর্যন্ত।
এসব পোশাকের চাহিদার ব্যপারে ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি ঈদে এ রকম কিছু পোশাক থাকে, যেগুলো মার্কেটে সাড়া ফেলে। কাঁচা বাদাম গানটি বেশি জনপ্রিয় হওয়ায় এই পোশাকটি ভালো বিক্রি হচ্ছে বলেও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। পুরান ঢাকার ইসলামপুর মার্কেট থেকে কাঁচা বাদাম ড্রেস কিনেছেন আফরিন জান্নাত। তিনি রাইজিংবিডিকে জানান, পোশাকটি দেখতে সুন্দর এবং কাপড় ভালো হওয়ায় আমি নিয়েছি। আমার ছোট বোন ও ভাবীকে উপহার দেওয়ার জন্যও দুটো ড্রেস নিয়েছি।
খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এসব নামে ক্রেতারা আকৃষ্ট হওয়ার কারণে এমন নাম দেওয়া হয়। কাপড় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসব নাম দেয় না। গ্রেটওয়াল শপিংমলের বিক্রেতা রাশেদ জামান বলেন, করোনার পর প্রথম ঈদ। ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে গত বারের চেয়ে। তবে বিক্রি এখন কিছুটা কম। আরও দুই একদিন পর কাঁচা বাদাম ও পুষ্পা ড্রেস বিক্রি বাড়বে।
পরিবারের নারী সদস্যদের জন্য একাধিক কাঁচা বাদাম ড্রেস কিনেছেন সুমন আলম। তিনি জানান, দামের মধ্যে ভালো মানের হওয়ায় সবার জন্য কিনেছি। শুধু পুষ্পা কিংবা কাঁচা বাদাম নয়, এ সবের পাশাপাশি বাহারী ডিজাইন ও নামে আরো পোশাক এসেছে বাজারে। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লেডিকন, সারারা, সান্না, বলিউড, লেদু, ঢং-ঢং, কাজের বুয়া, ছারপোকা ইত্যাদি।