বিশেষ প্রতিনিধি।। পাবনার বেড়া উপজেলায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে নিজ স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষক হাসমত হোসেন একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় গত বুধবার ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বেড়া মডেল থানায় অভিযোগ করেন। তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বেড়া উপজেলার ভারেঙ্গা একাডেমির সহকারি শিক্ষক শিক্ষক হাসমত হোসেন একই উপজেলার নতুনভারেঙ্গা ইউনিয়নের বাটিয়াখড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে ও ভারেঙ্গা একাডেমির বাণিজ্য শাখার সহকারী শিক্ষক।
তার দুই ছেলে সন্তান ও স্ত্রী থাকার পরেও তিনি তার প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান।
জানা যায়, স্কুলের পার্শ্ববর্তী গ্রাম কুশিয়ারা থেকে গত ৯ মে মেয়ে স্কুলে গেলে স্কুল ছুটির পরে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। দুইদিন খোঁজাখুঁজির পরে মেয়েকে না পেয়ে বাবা ওর সহপাঠীদের কাছে খোঁজ নিলে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষক কে ফোন করেন। শিক্ষক তখন ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাবার কথা স্বীকার করেন এবং তিনি তাকে বিয়ে করার কথা জানান। এ কথা শোনার পরেই গত ১১ মে বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বেড়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
ছাত্রীর বাবা রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘হাসমতকে আমি অনেক বিশ্বাস করতাম। তার কাছে আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তো। কিন্তু সে যে এতো বড় টাউট প্রতারক, তা আমি জানতাম না। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী এবং আমি মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত ।

স্কুলছাত্রীকে নিয়ে ওই শিক্ষকের পালানোর সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান। তিনি বলেন, প্রায় এক যুগ ধরে হাসমত এই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। আগে কখনো এমন আচরণ তার মধ্যে লক্ষ্য করিনি। তিনি এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছেন যে, আমরাও সামাজিকভাবে লজ্জার মধ্যে পড়েছি।

গত ৯ মে ওই ছাত্রী স্কুলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তার অভিভাবকরা দু’দিন ধরে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান না পুলিশের দ্বারস্থ হন। গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।

Share.
Exit mobile version