রাঙা প্রভাত ডেস্ক।। বরগুনা শহরের পৌর সুপার মার্কেটের পেছনে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২১০টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৬০ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছে ব্যবসায়ীরা। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটে।
পুরে যাওয়া দোকানের মধ্যে রয়েছে গার্মেন্ট, কসমেটিকস দোকান, সেলুন, বশতঘর ও আবাসিক হোটেলসহ প্রায় ২১০টি দোকান।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বরগুনা পৌর মার্কেটের পেছনের একটি দোকানে আগুন লাগে। নিমিশেই আশপাশের গার্মেন্টের দোকান, বশতঘর ও কসমেটিকসের কয়েকটি দোকানে আগুন লেগে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস বরগুনা স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে আমতলী, বেতাগী ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে আরো পাঁচটি ইউনিট এসে ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ২১০টি দোকান ও প্রায় ৬০ কোটিরও বেশি টাকার ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুতের শর্টসার্কিটের মাধ্যমে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দুই ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে বরগুনার বেতাগী, আমতলী ও পাথরঘাটার ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকাণ্ডে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এ খবর পেয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক, পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ফায়ার সার্ভিস বরগুনা স্টেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই।
তবে আগুনে তীব্রতার কারণে আমাদের একার পক্ষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে আমতলী, বেতাগী ও মির্জাগঞ্জ থেকে কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
তিনি আরো বলেন, কিভাবে আগুনের সূত্রপাত তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
তবে ধারণা করা হয়েছে ইলেকট্রিক শর্টসার্কিটের কারণে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটে।
Share.
Exit mobile version